ঢাকার ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এক পরিবারের চারজনের মৃত্যুর পরে সর্বশেষ দগ্ধ হোসনে আরা (৩৫) নামে আরও একজন মারা গেছেন। এতে পরিবারের দগ্ধ পাঁচজনের কাউকেই আর বাঁচানো গেল না।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হোসনে আরা মারা যান। তার শরীরের ২৫ শতাংশ পোড়া ছিল।
বার্ন ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়কারী ডাক্তার সামন্ত লাল সেন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শনিবার (৭ জানুয়ারি) ভোর ৫টার দিকে ধামরাই উপজেলার কুমড়াইল কবরস্থানের সংলগ্ন দোতলা বাড়ির নিচতলায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে জোছনা বেগম (২৫), তার স্বামী গার্মেন্টসকর্মী মনজুরুল (৩২), মেয়ে মরিয়ম (১.৫) বোন হোসনা (৩০) এবং আরেক বোনের মেয়ে সাদিয়া (১৮) দগ্ধ হন। এ পরিবারের সবাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় বার্ণ ইনস্টিটিউটে মারা যান। সর্বশেষ দগ্ধ ছিলেন হোসনে আরা।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঞ্জুরুলের মৃত্যু হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাতে মারা যায় মঞ্জুরুলের মেয়ে শিশু মরিয়ম। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) ভোরে মারা যান স্ত্রী জোছনা বেগম ও দুপুরে ভাগনি সাদিয়া।
তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া মো. নিজাম শেখ জানিয়েছিলেন, ওইদিন ভোরে তারা যখন ঘুমিয়েছিলেন তখন বিকট শব্দ শুনতে পান। এরপর ভবনের নিচতলা থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে নিচতলায় গিয়ে দেখেন, বাসাটির ভেতর পাঁচজন দগ্ধ অবস্থায় কাতরাচ্ছেন। আর আগুনে বিছানার কিছুটা পুড়ে গেছে। তখন তাদের উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
দগ্ধ স্বজনদের ধারণা, ভোরে রান্নার জন্য উঠে আগুন জ্বালানোর পরপর চুলার লিকেজ থেকে আগুন লেগে তারা দগ্ধ হয়েছেন।
মৃত মঞ্জুরুলের গ্রামের বাড়ি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের মাগুরা মাস্টারপাড়ায়। ধামরাইয়ে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন তিনি।