• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

আমদানির হুঁশিয়ারিতেও কমছে না পেঁয়াজের দাম


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মে ১৯, ২০২৩, ০৮:৪৩ পিএম
আমদানির হুঁশিয়ারিতেও কমছে না পেঁয়াজের দাম

একের পর এক হুঁশিয়ারি দিয়েও লাগাম টানা যাচ্ছে না পেঁয়াজের দরের। উল্টো আমদানির অনুমতি দেওয়ার ‘হুঁশিয়ারির’ পর পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে শুরু করেছে।

শুক্রবার (১৯ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্যই জানা যায়।

নিউ মার্কেট কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজিতে আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৭৫ টাকায়।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, মার্চ থেকে ভারত ও মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ আছে, ফলে দাম বেড়েছে। উৎপাদন মৌসুমে কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর গত মাস পর্যন্ত দাম নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এ মাসে লাফিয়ে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।

এদিকে মিরপুরের কাজীপাড়ায় গলির দোকানগুলোতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৯০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

জাহিদ হোসেন নামের এক বিক্রেতা বলেন, “পাইকাররা বলে মাল নাই। অথচ আড়তে মালের অভাব নাই। কিন্তু দাম বাড়লে তারা আরও বাড়াইয়া বলে। আমাদের আর কী করার আছে? যেমন কিনব, তেমন বিক্রি করব।”

মিরপুরের শাহ আলী পাইকারি পেঁয়াজ আড়তের বিক্রেতারা বলছেন এলসি বন্ধ থাকার কারণে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিতিশীলতা দেখা দিয়েছে।

এর আগে রোববার (১৪ মে) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার জানিয়েছিলেন, দাম ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকলে শিগগিরই সরকার পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

এরপরও সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর খুচরা ও পাইকারি বাজারগুলোতে লাফিয়ে লাফিরে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে।

এদিকে শুক্রবার (১৯ মে) রংপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাণিজ্যমন্ত্রীও দাম না কমলে পেঁয়াজ আমদানির কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। আমরা লক্ষ রাখছি। আপাতত ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। যদি দু-একদিনের মধ্যে দাম না কমে তাহলে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে।” এছাড়া সরকার চিনির দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও বাজারে এর প্রভাব না পড়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি।

অপর দিকে পেঁয়াজের মতো একই চিত্র আদার ক্ষেত্রেও। এক মাস আগে আমদানি করা পণ্যটির দাম ছিল কেজিতে ১৫০ থেকে ২৫০, সেটি ঠেকেছে ২৫০ থেকে ৪০০ টাকায়।

কেবল ভরা মৌসুম গেল, এরই মধ্যে আলুর কেজি ১৫ থেকে উঠল ৪০ টাকায়। গত বছর একই সময়ে দাম ছিল ১৫ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ টাকা।

এভাবে কেন বাড়ছে দাম, তার নেই কোনো যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, চলতি বছর দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ টনের বেশি, যা চাহিদার প্রায় কাছাকাছি। বর্তমানে মজুদও আছে ১৮ লাখ ৩০ হাজার টন।

গত দুই বছরে উৎপাদন ১০ লাখ টন বাড়ার কারণে কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় আমদানি সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

Link copied!