• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

জন্মের পরেই মিলবে এনআইডি


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২২, ০৭:১৫ পিএম
জন্মের পরেই মিলবে এনআইডি

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২২ অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। আইনে জন্মের পর পরই নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। তবে মন্ত্রিসভায় আনা আইনটির খসড়া পুনঃমূল্যায়নের জন্য আবারও মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

এর আগে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভায় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন ২০২২ নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “এ আইন পাস হলে জন্মের পরপরই ইউনিক আইডি দেওয়া হবে। পরে এটিই তার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর হবে। এতে জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলে যাচ্ছে। তবে নতুন আইন পাসের আগ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনই (ইসি) জাতীয় পরিচয়পত্রের কর্তৃপক্ষ হিসেবে কাজ করবে।”  

তিনি বলেন, “জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন যেটা এনআইডি অ্যাক্ট হিসেবে ছিল, ২০১০ অনুযায়ী এটা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে ছিল। এটা এখন সরকার নিজের কাছে নিয়ে আসতে চাচ্ছে। কারণ ইসির যে অরিজিনাল কনসেপ্টটা ছিল সেটা ১৯৯৬ সালের, তখন ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে এটা শুরু হয়েছিল। পরে এটা এনআইডিতে রূপান্তর করা হয়। কিন্তু সে সময় এটার বেসিক কনসেপ্ট ছিল নির্বাচন রিলেটেড। পরবর্তীতে যখন এনআইডি করা হলো তখন এটার সঙ্গে অন্যান্য কর্মসূচি যোগ করা হলো। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, এটা সরকারের সরাসরি তত্ত্বাবধানে থাকা বেশি প্রয়োজন। কারণ তারা তো সব ক্ষেত্রে সরকারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না। এ কারণে এটা সুরক্ষা সেবা বিভাগে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যারা পাসপোর্টটা হ্যান্ডেল করে।”

তিনি বলেন, “একটু বলে রাখি, আলটিমেটলি একটা ইউনিক আইডিতে চলে যাচ্ছে। আজকেও এটা আলোচনা হয়েছে। সব কিছু মিলিয়ে আর্লি রেজিস্ট্রেশন হবে। জন্মের সঙ্গে সঙ্গে যে রেজিস্ট্রেশনটা হবে সেটাই চার থেকে পাঁচ বছর পরে সব জায়গায় এটাই ব্যবহার হতে থাকবে। সেজন্য এটাকে পাসপোর্টের সঙ্গে লিংক করে জন্মের সঙ্গে সঙ্গে নম্বরটা দিয়ে দেওয়া হবে। অবশ্য আমাদের ক্ষেত্রে এটা পারা যাবে না। একেবারে জন্মের সঙ্গে সঙ্গে ফিঙ্গার প্রিন্ট, আইডেন্টিফিকেশন, সব দেওয়া হবে এবং মডিফিকেশন হবে। আমরা যারা বয়স্ক, আমাদের ক্ষেত্রে একবার দিয়ে দিলেই হবে। এটা সুরক্ষা সেবা বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “আগের আইনে ৩২টি ধারা রয়েছে। নতুন আইনে সেটি থেকে কমিয়ে ১৫টি করা হয়েছে। নতুন আইনটি আগের আইনের কাছাকাছি রাখতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে বসে আইনটি পর্যালোচনা করতে বলা হয়েছে।”

Link copied!