কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে রাজধানীর বাজারগুলোতে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। প্রকারভেদে প্রতিটি সবজি কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। ফলে বিপাকে পড়ে আক্ষেপ প্রকাশ করছেন ক্রেতারা।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া পটল, পেঁপে, ঢেরস ও মুলা ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। একইভাবে দাম বেড়ে চিচিঙ্গা ৬০, বেগুন ৬০, কাকরোল ৫০, কাঁচা মরিচ ২০০, কচুমোখা ৮০, শসা ৮০ ও করলা ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতাদের দাবি বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কম থাকায় বাজারে সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে।
রাজধানীর নাখালপাড়া থেকে কারওয়ান বাজারে সবজি কিনতে এসেছেন নাজমুল ইসলাম। আক্ষেপ প্রকাশ করে এই ক্রেতা বলেন, “মানুষের তো দৈনিক বেতন বাড়ে না। কিন্তু জিনিসের দাম দৈনিক বাড়ে। সবজির দাম আগের তুলনায় বেড়েছে। গত সপ্তাহে যেটা ছিল ৪০, আজকে সেটা কিনতে হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। এতে আমাদের ক্রয়ক্ষমতার ওপর প্রভাব পড়েছে। সংশ্লিষ্টদের কাছে আমার দাবি, দ্রব্যমূল্য যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে।”
মালিবাগ থেকে আসা নাজমা নামের এক নারী ক্রেতা বলেন, “বৃষ্টিতে মানুষ ঠান্ডা হয়। বাজার করতে এসে তরকারি দাম শুনে মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে। বাজারে সবজির দাম এত বাড়ছে, কল্পনাই করা যায় না। বিক্রেতাকে প্রশ্ন করলে বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে নাকি জিনিস (কাঁচা সবজি) আসে নাই। তাই দাম বেশি।’ কিন্তু খাইতে হবে। তাই বেশি হলেও কিনতে হয়।”
কাঁঠাল বাগান থেকে আসা সিরাজুল ইসলাম বলেন, “বাজারের যে অবস্থা, হিসাব করে টাকা নিয়ে এলে সেই অনুপাতে বাজার করতে পারি না। আজকে ৫০০ টাকা নিয়ে বাজার করতে আসছি। শসা কিনতে গিয়ে শুনি ৮০ টাকা কেজি। বাকি বাজার করব কী দিয়ে?”
সবজি বিক্রেতা সাহাবুদ্দিন বলেন, “বৃষ্টির কারণে আবার দাম বেড়ে গেছে। বাজারের পরিস্থিতি ভালো না। কয়েকদিন আগে বাজারে সবজির দাম কম ছিল। বৃষ্টির ওপরেই নির্ভর করছে কাঁচাবাজার।”
তিনি আরও বলেন, “আগে যে জিনিস ১২-১৩ টাকা কিনে, তার সঙ্গে পরিবহন আর নিজের খরচ যোগ করে বিক্রি করছি ৩০ টাকায়। দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন আর তা পারি না। কাস্টমার (ক্রেতা) আসে দাম দর করে খুব।”
রহিমা নামের এক নারী বিক্রেতা বলেন, “বৃষ্টিতে তিনদিন ধরে বিক্রি ভালো না। এখন আর আগের মতো লাভ হয় না। যদি বাজার ভালো হয়, তাহলে একটু লাভ হয়। না হলে লাভ কম হয়। বৃষ্টি কম হলে বাজার দর কম হবে। তখন বাজারে ক্রেতাও আসবে।”