• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ফের সেঞ্চুরি হাঁকাল পেঁয়াজ


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২৪, ০৫:২৮ পিএম
ফের সেঞ্চুরি হাঁকাল পেঁয়াজ
পেঁয়াজ

ভারতের রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় গত নভেম্বর-ডিসেম্বরে দেশের বাজারে বেড়ে যায় পেঁয়াজের দাম। এমনও হয়েছে প্রতি ঘণ্টায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। পরবর্তী সময়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরসহ সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার তৎপরতায় দাম কমতে শুরু করে। এ ছাড়া জানুয়ারির শুরুতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় কেজিপ্রতি নেমে আসে ৮০ টাকায়। তবে আবারও নতুন করে বাজারে পেঁয়াজের দামে ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে। খুচরা বাজারে দাম বাড়তে বাড়তে আবারও শতক হাঁকিয়েছে পেঁয়াজের কেজি।

রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ দোকানেই নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে। পুরনো পেঁয়াজের কেজি ৯০ টাকা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাবনায় প্রতি মণ পেঁয়াজ ৩২০০ থেকে ৩৪০০ টাকা কেনা পড়ছে। যা আগের থেকে ৪০০ টাকা বেশি। মূলত গতকাল থেকেই এমন দাম বেড়েছে।

সিরাজুল ইসলাম নামের এক পেঁয়াজ ব্যবসায়ী জানান, মূলত নতুন বা মুড়িকাটা পেঁয়াজ তোলা শেষের দিকে। প্রায় দেড় মাস আগে এই পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছিল, এখন কৃষকের সেই পেঁয়াজ শেষের দিকে। ফলে সরবরাহ কমতে শুরু করেছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ না থাকায় হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। এখন কৃষকের মূল পেঁয়াজ যেটা বছরজুড়ে পাওয়া যায়, সেই পেঁয়াজ উঠতে কিছুদিন সময় লাগবে। সে পর্যন্ত এমন বাড়তি দাম থাকতে পারে।

পর্যাপ্ত মজুত থাকার পরও হঠাৎ করে পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকা হওয়ায় হতবাক সাধারণ মানুষ। দাম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশসহ বাজারে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডাতেও জড়াতে দেখা যায় তাদের।

আরিফ নামের এক পেঁয়াজ ক্রেতা বলেন, “২০ থেকে ২৫ টাকা মূল্যের পেঁয়াজের কেজি ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা আমাদের জন্য অস্বাভাবিক। আবার পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকা হওয়ায় সিন্ডিকেট নতুন করে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। এটাই বাস্তব, কোনো মুখের কথা নয়। তা ছাড়া এখন যদি ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে থাকত তাহলে দাম কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে থাকত।”

কৃষক পর্যায় থেকে খুচরা বাজারে আসতে কৃষিপণ্য তিন-চার হাত বদল হয়। এতে ভোক্তা পর্যায়ে পণ্যের মূল্য তিন-চার গুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। ফলে লাভের সব টাকা যাচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীদের হাতে। এ ক্ষেত্রে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বলছে, এবার কৃষক পর্যায় থেকে বাজারের সাপ্লাই চেইন পর্যন্ত কাজ করবে তারা। একই সঙ্গে রমজানে কেউ যেন কারসাজি করতে না পারে, সেদিকে নজর থাকবে।

সংস্থাটির মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, “পরিবহন সমস্যা। পণ্য পরিবহনে যে অতিরিক্ত খরচ পড়ছে। কৃষক থেকে শুরু করে মধ্যস্বত্বভোগীরা কী পরিমাণ লাভ করছে, আমরা সব স্তরে নজরদারি করছি। রমজানে যেসব পণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে, আমরা বর্তমানে সেসব পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি।”

Link copied!