• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

রমজানে পেঁয়াজের দাম বাড়বে সন্দেহে বেশি কিনছেন


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০২৪, ০৯:৫৩ পিএম
রমজানে পেঁয়াজের দাম বাড়বে সন্দেহে বেশি কিনছেন
পেঁয়াজ। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের খুচরা দোকানে পাবনার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকা। গত ১৫ দিন আগে এই পেঁয়াজের দাম ছিল ১২০ টাকা। আর দুই থেকে তিন আগে বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৯০ টাকায়। দাম উঠানামার এই চিত্র বলছে, ঊর্ধ্বমুখী পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও আবারও বাড়তে শুরু করেছে।  

শনিবার (৯ মার্চ) পেঁয়াজের বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।  

এ দিন খুচরা দোকানে প্রতি কেজি পাবনা পেঁয়াজের দাম ছিল ১০০ টাকা, রাজশাহী ৯৩ থেকে ৯৪ এবং ফরিদপুর পেঁয়াজের প্রতি কেজির দাম ছিল ৮৮ থেকে ৯০ টাকা। আর পাইকারি দোকানে প্রতি কেজি পাবনার পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮৮ থেকে ৯০, রাজশাহী ৮৫ থেকে ৮৬ এবং ফরিদপুরের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮৩ থেকে ৮০ টাকায়।  

গত দুই থেকে তিন দিন আগে একই বাজারের খুচরা দোকানে, প্রতি কেজি পাবনার পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮৮ থেকে ৯০, রাজশাহী ৮৭ থেকে ৮৯ এবং ফরিদপুরের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭৮ থেকে ৮০ টাকায়। একই সময়ে বাজারের প্রতি কেজি পাইকারি দোকানে পাবনা পেঁয়াজের দাম ছিল ৭৫ থেকে ৭৬, রাজশাহী ৭৪ থেকে ৭৮ এবং ফরিদপুরের পেঁয়াজের দাম ছিল ৬৮ থেকে ৭০ টাকা।

এছাড়াও গত ১৫ থেকে ২০ দিন আগে বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা দোকানে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ১১০ থেকে ১২০টাকা এবং পাইকারি দোকানে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা।  

রোজা শুরু হতে হাতে রয়েছে মাত্র কয়েকটি দিন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, রমজানকে ঘিরে বাজারে বেড়েছে পেঁয়াজের চাহিদা। তাই চাহিদার সঙ্গে সঙ্গে দামও বেড়েছে। আর ক্রেতাদের অভিযোগ, সৎ ব্যবসায়ীর অভাবে রমজানের বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম।  

রাজধানীর ভুতের গলি থেকে আসা পেঁয়াজ ক্রেতা আইনুল বলেন, “পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা কেজি চায়। গত বছর রোজার আগে পেঁয়াজ কিনছি ৩০-৪০ টাকা।”

রিয়াজ উদ্দিন নামের আরেক ক্রেতা বলেন, “সাধারণ নিম্ন আয়ের মানুষ কীভাবে চলবে এই চিন্তা কেউ করে না। সবাই নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত। ৮০ টাকা কেজি পেঁয়াজ কিনতে গেলে দম বের হয়ে যায়, সেখানে আজকে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি। রোজার জন্য সব জিনিসের দাম বাড়ে। সৎ ব্যবসায়ীর খুব অভাব।”

খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা ইমান আলী বলেন, “গতকাল থেকে পেঁয়াজের দাম বাড়তি। কেন বাড়তি আমরা জানি না। আমরা কম দামে কিনলে, কম দামে বিক্রি করি। বেশি দামে কিনলে, বেশি দামে।”

আরেক খুচরা বিক্রেতা আইনুল বলেন, “যে কাস্টমার (ক্রেতা) পাচ্ছি, তারা ৪ থেকে ৫ কেজি করে কিনছে। রমজানে পেঁয়াজের দাম বাড়বে এই সন্দেহে মানুষ বেশি বেশি করে কিনে রেখে দিচ্ছে। দাম বাড়তি একটু। কবে কমবে জানি না।”

পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা খলিলের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, “দুই দিন আগে দাম কম ছিল। এখন একটু বাড়ছে, তবে রোজা শুরু হলে দাম কমে যাবে। এখনই মানুষ বেশি করে পেঁয়াজ কিনে রেখে দিচ্ছে। এজন্যই চাহিদা বাড়ায় দাম বাড়ছে।”

রাজিব নামের আরেক পেঁয়াজ বিক্রেতা বলেন, “দুই দিন ধরে পেঁয়াজ বিক্রি বেশি। এই বাজার (বর্তমান দাম) হয়তো দুই থেকে দিন থাকবে। রোজায় হোটেল খুলবে এক বেলা, মানুষ রান্না করবে এক বেলা, তখন পেঁয়াজের চাহিদাও কমবে, দামও কমবে। ভারতীয় পেঁয়াজ শুনেছি টিসিবির মাধ্যমে আমদানি হবে, সেটা আমরা পাব না।”

Link copied!