রাজধানীসহ সারা দেশে গত দেড় মাস থেকে স্থিতিশীল রয়েছে চালের বাজার। বাজারের এই পরিস্থিতিকে বিক্রেতারা স্বস্তির চিত্র বললেও ক্রেতারা তা মানতে নারাজ। তাদের প্রত্যাশা চাল বিক্রি হবে আরও কম দামে।
রোববার (২০ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ‘নাজির শাইল’ চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭২ টাকায় ও প্রতি ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার ২০০ থেকে তিন হাজার ৫৫০ টাকায়। একইভাবে বিক্রি হচ্ছে ‘আঠাশ’ প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৫২ ও বস্তা ২৪৫০ থেকে ২৫৫০ টাকা, ‘উনত্রিশ’ ৫৪ থেকে ৫৬ ও বস্তা ২৬৫০ থেকে ২৭৫০ টাকা এবং ‘গুটি স্বর্ণা‘ জাতের চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ ও প্রতি ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২৫০০ থেকে ২৬০০ টাকায়।
অপরদিকে মোটা আতব চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৮ টাকা ও প্রতি ৫০ কেজির বস্তা ২৩০০ টাকা। আর চিকন আতব চালের দাম প্রতি কেজি ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা ও প্রতি বস্তা ৩২০০ থেকে ৩৭০০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আতবের দাম গত কয়েকদিনের ব্যবধানে বস্তায় ৩০০ টাকা বেড়েছে।
আব্দুল হাকিম নামে এক শ্রমিক বলেন, “বাজারে সব জিনিসের দাম বাড়ছেই। চালের বাজার কয়েক মাস থেকে একই রকম আছে। কিন্তু অন্যান্য সব জিনিসের দাম বেশি। আমরা তো দিনমজুর। চাল ছাড়া অন্যসব জিনিস বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। পরে চাল কেনার টাকা থাকে না। এখন ৫০-৬০ টাকার নিচের চাল নেই। এই চাল যদি ৪০ টাকা হয়, তাহলে ভালো হয়। তাছাড়া এখন আয় কম। এই আয় দিয়ে ৫০-৬০ টাকায় চাল কেনা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে।”
আমিনুর নামে একজন চাল ক্রেতা বলেন, “৪০ টাকা কেজি চালের দাম হওয়া দরকার। খালি ভাত খাওয়া যায় না, চাল চাইলেও কম কিনতে পারি না। অসুবিধার মধ্যে আছি। কবে কমবে আল্লাহ জানেন।”
জসীম উদ্দিন নামে এক চাল বিক্রেতা বলেন, “গত দেড় মাস ধরে চালের দাম একই রকম আছে। কোনো প্রকার সংকট নেই। এটাই স্বস্তি। মাসের মাঝামাঝি সময় হওয়ার কারণে বাজারে চাল এখন বেশি। কিন্তু ক্রেতা কম। বর্তমানে চালের সরবরাহ ভালো। যদি কৃত্রিম সংকট না তৈরি হয়। তবে চালের দাম বাড়বে না।”
শাহজাহান নামে আরেক চাল বিক্রেতা বলেন, “কথায় আছে, ‘গাঙের পানি, গাঙে যাবে।’ তেমনই কমে কিনলে কমে বিক্রি করব। আর বেশি দামে কিনলে বেশিতে। তবে, গত ২ মাস থেকে চালের দাম কমছেও না, বাড়ছেও না। এতে চালের বাজারের পরিবেশ ভালো। বর্তমানে আমাদের কাছে ২৫ আর ৫০ কেজির বস্তা রয়েছে। বাজারে ৫০ কেজির বস্তার চাহিদা বেশি। আর কেজি হিসাবে বিক্রি তো আছেই।”