• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

‘যতদিন মেয়র আছি, ততদিন কোনো ভূমিদস্যু রাখব না’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩, ০৬:১৮ পিএম
‘যতদিন মেয়র আছি, ততদিন কোনো ভূমিদস্যু রাখব না’

যতদিন মেয়র হিসেবে দায়িত্বে আছি, ততদিন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কোনো ভূমিদস্যু রাখব না বলে মন্তব্য করেছেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেছেন, “আমাদের অনেক জমি বিভিন্নভাবে দখল আছে। ভূমিদস্য, কুচক্রি মহল বসে বসে জমি দখল করে খেয়েছে। জমি আমার, ভাড়া দেয় তারা। আমি থাকতে তা বরদাশত করব না।”

বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবন প্রাঙ্গণে ১৪নং আউটফল ও ধলপুর তেলেগু পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাসের বাসা বরাদ্দপত্র ও চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠান তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ তাপস বলেন, “আমাদের অনেক জমি বিভিন্নভাবে দখল অবস্থায় আছে। ভূমিদস্য, কুচক্রি মহল বসে বসে আমাদের জমি দখল করে খেয়েছে। এখন থেকে আমার পরিচ্ছন্নকর্মীরা, আমার কর্মচারীরা থাকবে। তা দেখার দায়িত্ব আমাদের।”

১৪ নম্বরে আউটফলে আমাদের ১৫ একর জমি আছে জানিয়ে মেয়র বলেন, “বিভিন্নভাবে অনেক অসাধু লোক সেখানে মাদকের আখড়া বানিয়ে রেখেছিল। কিছু লোক আমাদের কর্মচারীদের কাছ থেকে সেখানে থাকার জন্য টাকা নেয়। জমি আমার, সেখানে থাকলে আমার কর্মচারীরা থাকবে। বিনামূল্যে থাকবে। তাদের আবার এসব অসাধু লোকদের টাকা দিতে হবে? কেন টাকা দিবে?”

১৪ নম্বর আউটফলে নতুন করে আর কিছু ঘর নির্মাণের ঘোষণা দিয়ে শেখ তাপস বলেন, “সেখানে অত্যাধুনিক মোটর গ্যারেজ নির্মাণের জন্য আমাদের ১০ একর জমি লাগবে। আমার গাড়ি এখন রাস্তায় থাকতে হয়। রাস্তা থেকে চুরি হয়ে যায়। ঝড়, বৃষ্টি, রোদে গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে যায়। সেজন্য আমরা গাড়ি রাখার অত্যাধুনিক গ্যারেজ নির্মাণ করব। সেখানে আমাদের সব গাড়ি, যান-যন্ত্রাংশ নিরাপদে থাকবে। আর বাকী যে ৫ একর জমি আছে, সেখানে আমরা আমাদের কর্মীদের, কর্মচারীদের থাকার ব্যবস্থা করে দেব।” 
তিনি আরও বলেন, “পানি, বিদ্যুৎ যা যা লাগবে সেগুলো আমরাই ব্যবস্থা করে দেব। সেখানে ঘর করে দেব। সেজন্য আপনারা কাউকে এক টাকাও দেবেন না। এটা আমাদের দায়িত্ব। আমরাই করে দেব। কিন্তু এর মাঝে কোনো মধ্যস্বত্তভোগী, দালালচক্র কোনরকম যেন পায়তারা করতে না পারে। যদি কেউ করে তাহলে আমার কানে দেবেন। আর আমার কানে আইলে তো বুঝেন কি অইব।”

বৃহস্পতিবার ১৪ নম্বর আউটফল ও ধলপুরে নির্মিত আবাসিক ভবন পলাশে ১০৯ জন, শালুকে ৯ জন এবং শাপলায় ২ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে বাসা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এছাড়াও আবাসিক ভবন মুকুলে তেলেগু সম্প্রদায়ের ২৫ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকেও বাসা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাদল সরদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

Link copied!