• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ঢাকা দক্ষিণে বর্জ্য অপসারণে থাকবে ১০ হাজার কর্মী : মেয়র তাপস


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২৩, ০৯:৫২ পিএম
ঢাকা দক্ষিণে বর্জ্য অপসারণে থাকবে ১০ হাজার কর্মী : মেয়র তাপস

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) এলাকাগুলোতে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ১০ হাজার জনবল মাঠ পর্যায়ে নিয়োজিত থাকবে বলে জানিয়েছেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

মঙ্গলবার (২৭ জুন) দুপুরের দিকে রাজধানীর হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থিত জাতীয় ঈদগাহ ময়দান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

মেয়র তাপস বলেন, “কোরবানির বর্জ্য অপসারণের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছি। ঈদের দিন দুপুর ২টা থেকে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করব। গত বছর আমরা বলেছিলাম, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করব। আমরা সফল হয়েছি। এবারও আমাদের সেরকম প্রস্তুতি রয়েছে।”

তিনি বলেন, “বর্জ্য অপসারণে আমরা ৩৫০ এর অধিক যান-যন্ত্রপাতি ব্যবহার করব। আমাদের প্রায় ১০ হাজার জনবল মাঠ পর্যায়ে নিয়োজিত থাকবে। কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে তাদের কার্যক্রম তদারকি করা হবে। এছাড়া আমাদের কর্মকর্তাদের সুনির্দিষ্ট করে অঞ্চলভিত্তিক, ওয়ার্ডভিত্তিক ও হাটভিত্তিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা তদারকি করবে।”

মানবিক কারণে কোরবানির কার্যক্রম ২ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে ঢাকাবাসীকে আহ্বান জানিয়ে শেখ তাপস বলেন, “আমি সকলের কাছে বিনীত নিবেদন করব, যাতে করে দুইদিনের মধ্যেই (ঈদের দিন ও ঈদের পরের দিন) যেন কোরবানির কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। তৃতীয় দিনের জন্য যেন কোনো পশু রেখে দেওয়া না হয়। এটা আমার বিনীত নিবেদন থাকবে।”

তিনি বলেন, “আমরা দেখেছি তৃতীয় দিনেও অনেকেই কোরবানি দিয়ে থাকেন। সেটি আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যায়। কারণ আমাদের সব কার্যক্রমে জড়িত কর্মীদের ৭২ ঘণ্টার পরে কিন্তু বিশ্রাম দিতে হবে। তারা একটানা ৭২ ঘণ্টা কার্যক্রম চালাবে। সুতরাং এটা একটা অমানবিক হয়ে যায় যে, তাদের দিয়ে আবার কাজ করানো।”

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র তাপস বলেন, “বর্জ্য রাখার জন্য পর্যাপ্ত ব্যাগ, স্যাভলন, ব্লিচিং পাউডার দেওয়া হয়েছে। বর্জ্য সংগ্রহ করার জন্য যে সকল সামগ্রী দরকার সেগুলো আমরা দিচ্ছি। মাঠ পর্যায়ে সকল প্রস্তুতি আমাদের নেওয়া হয়েছে।”

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!