গ্রেপ্তার ইভ্যালির রাসেল-শামীমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ।
এর আগে শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে র্যাবের একটি টিম ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিন গুলশান থানায় হস্তান্তর করে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে জব্দ হওয়া জিনিসপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও র্যাব পুলিশের কাছে জমা দিয়েছে।
এদিকে শুক্রবার দুপুর ২টায় আদালতে নেওয়া হয় তাদের। পরে দুপুর সোয়া ২টায় তাদের আদালতের গারদখানায় রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে বনানী থানার পরিদর্শক তদন্ত মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, “গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
র্যাব জানায়, গুলশান থানার দায়ের হওয়া মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নিজ বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের র্যাব সদর দপ্তর নিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় মামলা হয়। আরিফ বাকের নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক মামলাটি করেন। মামলার নম্বর- ১৯।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আরিফ বাকের গত ২৯ মে ও জুন মাসের বিভিন্ন সময়ে ইভ্যালিতে মোটরসাইকেলসহ বেশ কয়েকটি পণ্য অর্ডার করেন। এগুলো ৭ থেকে ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে দেওয়ার কথা থাকলেও তারা (ইভ্যালি) দেয়নি। ইভ্যালির কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিয়ে সমাধান পাওয়া যায়নি। অফিসে গিয়ে তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বললে খারাপ ব্যবহার করেছে। প্রতিষ্ঠানটির সিইও রাসেলের সঙ্গেও দেখা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন বাকের। তার সঙ্গে ইভ্যালি চরম দুর্ব্যবহার করেছে।