স্বাধীনতার পর পাকিস্তানের ১০০ রুপির মান ছিল বাংলাদেশের ১৬৫ টাকার সমান। তবে স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এসে ঠিক তার উল্টো। রুপির চেয়ে প্রায় দুই মান বেড়েছে টাকার।
বাংলাদেশের ১০০ টাকার জন্য এখন ১৯৮ পাকিস্তানি রুপি খরচ করতে হচ্ছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের এক টাকা সমান পাকিস্তানের প্রায় দুই রুপি।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) কারেন্সি এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
শূন্য হাতে শুরু বাংলাদেশ এখন এগিয়ে চলছে আপন গতিতে। নারীর ক্ষমতায়ন, বেকারত্ব দূর, শিক্ষাসহ নানা ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় মডেল বাংলাদেশ। পাশাপাশি অনেক দেশ থেকেই এখন এগিয়ে।
জন্মলগ্নে যে দেশটি নির্দয়ভাবে ধ্বংসযজ্ঞের শিকার হয়েছে, অভিহিত হয়েছে তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে, সে দেশের সুবর্ণ সম্ভাবনা এখন বিশ্বের নামিদামি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের আলোচ্য বিষয়।
৫০ বছর আগে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল সাড়ে ৭ কোটির চেয়েও কম। ৫০ বছরে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বেড়েছে ৯ কোটিরও বেশি।
এ সময়ে ঘরবাড়ি, স্থাপনা এবং রাস্তাঘাট কলকারখানা নির্মাণে বিপুল কৃষিজমি ব্যবহৃত হয়েছে। তারপরও যে দেশটি শত শত বছর ধরে খাদ্য ঘাটতির দেশ বলে বিবেচিত হতো, সে বাংলাদেশ এখন খাদ্যে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ।
এ সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে আলোচ্য বিষয় করোনাভাইরাস মহামারী। মহামারী প্রতিরোধেও বাংলাদেশের সাফল্য আকাশচুম্বী। নানা অব্যবস্থাপনা ও ঘাটতির পরও মহামারী মোকাবিলায় বিশ্বের ২০তম সফল দেশের তালিকায় বাংলাদেশ স্থান পেয়েছে একটি র্যাংকিংয়ে।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত ডাটা মিডিয়া ব্লুমবার্গ বাংলাদেশকে বিশ্বব্যাপী ২০তম ও দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম স্থানের স্বীকৃতি দিয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের ৪০তম অর্থনীতির দেশ।
অর্থনীতি বিশ্লেষকদের মতে, দেড় দশক পর বাংলাদেশ ২৫তম স্থানে পৌঁছতে সক্ষম হবে। ৫০ বছরে বাংলাদেশের সাফল্য অবশ্যই গর্বের। তবে সুখী সমৃদ্ধ দেশ প্রতিষ্ঠার যে প্রত্যাশা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তা অর্জনে নিরন্তর এগিয়ে যেতে হবে। আত্মপ্রসাদের কোনো সুযোগ থাকা উচিত নয়।

































