দেশি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের (প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান) বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
এর আগে আরিফ বাকের নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে আগামী ২১ অক্টোবর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মামলার এজাহার আদালতে পৌঁছালে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এজাহার গ্রহণ করে এই আদেশ দেন।
আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আরিফ বাকের গত ২৯ মে ও জুন মাসের বিভিন্ন সময়ে ইভ্যালিতে মোটরসাইকেলসহ বেশ কয়েকটি পণ্য অর্ডার করেন। এগুলো ৭ থেকে ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে দেওয়ার কথা থাকলেও তারা দেয়নি। ইভ্যালির কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিয়ে সমাধান পাওয়া যায়নি। অফিসে গিয়ে তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বললে খারাপ ব্যবহার করেছে। প্রতিষ্ঠানটির সিইও রাসেলের সঙ্গেও দেখা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন তিনি। তার সঙ্গে ইভ্যালি চরম দুর্ব্যবহার করেছে।
মামলার বাদী আরিফ বাকের বলেন, দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে থানা থেকে জানানো হয় আমার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি হয়েছে। তবে মামলার কপি আমি এখনো হাতে পাইনি।
গত মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ইভ্যালির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বাধীন আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি। এদিন সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, “আইন লঙ্ঘন হওয়ায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দায়িত্ব না নিয়ে তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে দেবে। তার আগে কমিটির সুপারিশ বাণিজ্যমন্ত্রী ও বাণিজ্য সচিবকে জানানো হবে।”
এদিকে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে (প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার নিলয় কমপ্রিহেনসিভ হোল্ডিংয়ের (হাউজ ৫/৫এ, স্যার সৈয়দ রোড) বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।