শুরু হয়েছে গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসবের দশম আয়োজন। এ বছর ২১ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এই বিশাল সাংস্কৃতিক মিলনমেলা। বরাবরের মতোই এবারের আয়োজনেও অংশগ্রহণ করবেন বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের সাংস্কৃতিক সংগঠন। আনুমানিক ৩৫০০জন শিল্পীর অংশগ্রহনের মধ্য দিয়ে এবারের ‘গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব-২০২২’ উদযাপিত হবে।
এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সঙ্গীত, নৃত্যকলা ও আবৃত্তি মিলনায়তনে আবহমান বাংলা ও বাঙালির অন্যতম সেরা ভাষাশিল্পী, সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক রচিত ‘পরানের গহীন ভিতর’ শীর্ষক আবৃত্তিসন্ধ্যার আয়োজন করেছে ‘স্বরকল্পন আবৃত্তিচক্র’। প্রযোজনাটির নির্দেশনায় আছেন মোস্তাফিজ রিপন।
আবৃত্তিচক্রের এ প্রযোজনায় অংশ নিবেন জ্যেষ্ঠ ও তরুণ আবৃত্তিশিল্পীরা। প্রযোজনায় অংশগ্রহণ করবেন সোহেল আহমেদ, হাবিবুল্লাহ জোয়াদ্দার, মাজেদা পারভীন বকুল, মনোয়ার হোসেন, রিফাত আরা ইসলাম, খুরশিদা ইয়াসমিন, তৃষা খন্দকার, আশরাফি জাহান মিতু, দেওয়ান সুমাইয়া সুলতানা আশা, সামিরা মাশরুহা ও মুনতাহাব মুনিয়া।

সার্বিক তত্বাবধায়নে থাকবেন স্বরকল্পন আবৃত্তিচক্রের সভাপতি শাহিদূল হক মিল্কি। মঞ্চ ব্যাবস্থাপনা আছেন সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুর রহমান। এছাড়াও আলোক প্রক্ষেপনে রয়েছেন কমল কান্তি সরকার। এবং শব্দ নিয়ন্ত্রনে, মুহাম্মদ নূর উদ্দিন জনি ও ইমাদ উদ্দিন মারুফ।

এ বছর গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন থাকবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তন, পরিক্ষণ থিয়েটার হল, স্টুডিও থিয়েটার হল ও সঙ্গীত আবৃত্তি ও নৃত্য মিলনায়তন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং বাংলাদেশ মহিলা সমিতি’র ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে ভারতের ৪টি দল, ঢাকা ও ঢাকার বাইরের ৪০টি নাট্যদলসহ মোট ৪৪টি মঞ্চনাটক প্রদর্শনী এবং সঙ্গীত আবৃত্তি ও নৃত্য মিলনায়তনে ১৮টি সঙ্গীত আবৃত্তি ও নৃত্যদল ও উন্মুক্ত মঞ্চে ৯টি পথ নাটক, ১৫টি আবৃত্তি সংগঠন, ১২টি সঙ্গীত সংগঠন, ৭টি নৃত্য সংগঠন, ১০টি শিশুদল এবং একক আবৃত্তি ও একক সঙ্গীত পরিবেশনা নিয়ে এ উৎসব আয়োজিত হচ্ছে।
উৎসবে মঞ্চনাটক, নৃত্য, আবৃত্তি, সঙ্গীত, পথনাটক, যাত্রাপালায় ভারত ও বাংলাদেশের মোট ১১১ টি দল অংশগ্রহণ করবে। উন্মুক্ত মঞ্চের সাংস্কৃতিক পর্ব প্রতিদিন ৪.৩০মিনিট থেকে ৬.৩০ মিনিট পর্যন্ত এবং মঞ্চনাটক প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে।