স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের মধ্যে খুঁটিনাটি খোশগল্প কিংবা ম্যারাথন আলোচনা, কথার পিঠে কথা না হলে কি আর সম্পর্ক সুখের হয়? ব্যস্ত জীবনে সম্পর্ক সুন্দর রাখতে হলে দুজনের আলাপচারিতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। চা বা কফি পান করতে করতে মেতে উঠতে পারেন খোশগল্পে। চলুন জেনে নেয়া যাক কী কী ধরণের আলাপচারীতায় মেতে উঠতে পারেন দুজনে।
স্মৃতিকাতর হয়ে উঠুন
স্মৃতির পাতায় ডুবে যান। রোমন্থন করুন স্মৃতিভরা শৈশব বা সে সময়ে টক-মিষ্টি নানান ঘটনা। দুজনের জীবনের অতীতের সেই ঘটনার গল্প দুজনকে টেনে নিয়ে যাবে আরও গভীর সম্পর্কের বাঁধনে।
পুরোনো সঙ্গীর কথা
সময়-সুযোগ বুঝে সঙ্গীর সঙ্গে পুরোনো সঙ্গী-বন্ধু নিয়ে কথা বলতে পারেন। হয়তো বাজে শোনাতে পারে, তবে কিছু ক্ষেত্রে অতীতের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করা যেতেই পারে। খেয়াল রাখতে হবে তা যেন বর্তমান সম্পর্ককে তিক্ত করে না তোলে। অতীতের সম্পর্ক কেন টেকেনি সে বিষয়টি আলোচনা করে বর্তমানের ভুল ভাঙিয়ে নিলে দোষ কী?
পছন্দ-অপছন্দ
সঙ্গীকে রাখঢাক না করেই পছন্দ-অপছন্দের বিষয়টি বলে ফেলুন। সুখী দম্পতির মধ্যে পছন্দ-অপছন্দের আলোচনাতেই দুজনের মধ্যে অনেক জানাশোনা বাড়ে। ঝালাই করে নেওয়া যায় অনেক কিছু। সঙ্গীর কোন বিষয়গুলো আপনার মুখে হাসি ফোটায় আর কোনগুলোতে ভ্রু কোঁচকায় তা খোলামেলা আলোচনা করুন।
ভয় ও নিরাপত্তাহীনতা
ভয়, নিরাপত্তাহীনতা জীবনের অংশ। কোন বিষয়গুলোতে বেশি ভয় আর নিরাপত্তাহীন বোধ হলে তা সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনা করুন। পরস্পরের কথা জানুন। কোন বিষয়গুলোতে আপনার মনে বেশি ভীতি কাজ করে তা সঙ্গীকে বলুন। এই বলার মধ্য দিয়েই হয়তো সেই ভয় কাটতে শুরু করবে। সঙ্গী আপনার সেই ভয় দূর করে দেবে।
ভবিষ্যৎ
প্রতিটি দম্পতির আলোচনার তালিকায় শির্ষে থাকে ভবিষ্যত। এটি ভালো দিক। কারণ আগেভাগে পরিকল্পনা করা হলে ভবিষ্যতের যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়ানো যাবে। যদিও ভবিষ্যতে কী হবে তা অনুমান করা যায় না। তবে ভবিষ্যতের সঙ্গে তাল মেলানোর জন্য বর্তমানের আলোচনা কাজে দেবে। সঙ্গীর সঙ্গে ভবিষ্যতে কী করতে চান তা নিয়ে হরদম আলোচনা করুন। সম্পর্ক মধুর হয়ে উঠবে।
আপনার মতামত লিখুন :