• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দাম্পত্য সম্পর্ক ভালো রাখতে হলে...


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২৩, ০৩:৪৩ পিএম
দাম্পত্য সম্পর্ক ভালো রাখতে হলে...

সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা পরিমাপের আসলে কোনো সূত্র হয় না। কারণ, ঘনিষ্ঠতা সবার জন্য একই মাপকাঠি মেনেও চলে না। তবে কিছু বিষয় থাকে, যা দিয়ে দুজনের সম্পর্কের সুস্থতার বিষয়টি পরিমাপ করা যায়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে যোগাযোগ, যৌনতা, স্নেহ, মূল্যবোধ ও শখ ভাগাভাগি করে নেওয়া। সম্পর্ক গবেষকদের মতে, সম্পর্ক ভালো রাখার জন্য প্রয়োজন একে অন্যের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার প্রবণতা। এ ছাড়া আরও যেসব বিষয় কাজ করে চলুন দেখে নিই সেসব।

খোলামেলা যোগাযোগ
সাফল্য, ব্যর্থতা, স্ট্রেস, ভালো লাগা, খারাপ লাগা ইত্যাদি সব বিষয়ে খোলামেলা কথা বলতে পারা একটি সম্পর্ককে ভালো রাখে। যেকোনো বিষয়েই আপনার সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলার মতো অবস্থান তৈরি করতে হবে। তাদের মতামত মন দিয়ে শুনতে হবে। সেটি গ্রহণ করতে হবে তা নয়, তবে আলোচনার মাধ্যমে একটি অবস্থানে পৌঁছানো যায়। সম্পর্ক ভালো রাখতে মানসিক দূরত্ব কমান ও একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ান।

বিশ্বাস
বিশ্বাস শব্দের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সততা ও বিশুদ্ধতা। একে অন্যের কাছ থেকে কিছু গোপন করা, মিথ্যা বলা কখনোই ভালো সম্পর্কের লক্ষণ নয়। প্রথমত, যার কাছে আপনার গোপনীয়তা নিরাপদ নয় অর্থাৎ সম্পর্ক ভেঙে গেলে সে এসবের সুবিধা নিতে পারে, তার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর আগে ভাবুন। যেকোনো কিছু নির্ভয়ে শেয়ার করার আত্মবিশ্বাস বজায় থাকা জরুরি।

নিজের ব্যক্তিত্ব ধরে রাখা
যে সম্পর্ক আপনার নিজস্বতা মুছে দেয়, তা ভালো সম্পর্ক নয়। দোষগুণ মিলিয়েই আপনি একজন মানুষ। তাই আপনার নিজস্বতা ধরে রাখুন। আপনার ভালো লাগা, শখ, আহ্লাদ সঙ্গীর পছন্দ অনুযায়ী বদলে ফেললে তা ভালো ও সুন্দর সম্পর্কের উদাহরণ নয়। অপর ব্যক্তির ভালো লাগা-মন্দ লাগার বিষয়টাকে সম্মান করেই আমাদের একটি সম্পর্কে প্রবেশ করা উচিত। এভাবেই একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধা বজায় থাকে।

কৌতূহল বা আগ্রহ
একটি সুস্থ সুন্দর দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো একে অন্যের প্রতি কৌতূহল বা আগ্রহ বজায় রাখা। আপনার সঙ্গীর চিন্তা, উদ্দেশ্য ও প্রাত্যহিক জীবনযাপন সম্পর্কে আগ্রহ থাকা স্বাভাবিক। আপনার উদ্দেশ্য হওয়া উচিত, আপনার সঙ্গী যেন তার সর্বোচ্চ দিয়ে জীবনে ভালো কিছু করে সেটি দেখা। তবে আমরা যত্নের নামে অনেক সময় সঙ্গীর ব্যক্তিত্ব বদলে দেওয়ার চেষ্টা করি। এটি অন্যায়। সে কী করছে, কী ভাবছে সেটি সম্পর্কে আগ্রহ থাকার মানেই কিন্তু তার জীবনের গতিপথ বদলে দেওয়া নয়। বরং সে যা করতে চায় বা করে তা উপভোগ করা, পাশে থাকা।

প্রয়োজন কিছুটা দূরত্ব
অধিকাংশ সম্পর্কের মধ্যেই একসঙ্গে সময় কাটানোর চাহিদা থাকে। এটির মানেই দুজন একসঙ্গে রোমান্টিক সময় কাটানো নয়। ব্যক্তিগত চাহিদা, কাজকর্ম ও অন্যান্য দায়বদ্ধতা মিলিয়েই কিন্তু এই সময় কাটানো। যতটা সময়ই একসঙ্গে কাটান না কেন, সম্পর্কে সম্মান বজায় রাখার জন্য স্পেস অর্থাৎ ব্যক্তিগত সময়েরও খুব প্রয়োজন। এভাবে সময় কাটালে আপনার আবেগের জায়গাটি দৃঢ় থাকবে যা সুস্থ সম্পর্কের জন্য দরকার।

বিরোধ মিটিয়ে ফেলা
একটি সম্পর্ক যতই ভালো হোক না কেন, তার মধ্যে তিক্ততা ও মতবিরোধ দেখা দিতেই পারে। অনেক সময়ই হতাশা ও রাগের মতো স্বাভাবিক অনুভূতি গোপন করা ঠিক নয়। সম্পর্কে মতবিরোধ মানেই সেটি অস্বাভাবিক সম্পর্ক নয়। এমন হলে ঠান্ডা মাথায় কথা বলে মতবিরোধের জায়গাটি খুঁজে বের করে তা সমাধানে কাজ করা উচিত। যতটা সম্ভব শ্রদ্ধা, নম্রতা আর পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমেই ঝগড়া মিটিয়ে নেওয়া উচিত। একে অন্যকে নিচু দেখানো ও ভুল ধরার প্রবণতা সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করে।

সূত্র: হেলথলাইন ডট কম

Link copied!