• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ত্বকের উজ্জ্বলতা ও লাবণ্য ধরে রাখতে যা খাবেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২৩, ১২:০২ পিএম
ত্বকের উজ্জ্বলতা ও লাবণ্য ধরে রাখতে যা খাবেন
ত্বকের যত্নে খাবার

সুন্দর ত্বকের প্রত্যাশা সবারই থাকে। আর তাই ত্বকের যত্নে ভেষজ, বাজারজাত, ফলের রস এবং ক্রিম থেকে শুরু করে নানা রকম প্রসাধনী দিয়ে রূপচর্চা করে থাকেন অনেকে। আসলে ত্বক ভালো রাখার জন্য কৃত্রিম প্রসাধনীর চেয়ে খাবারের দিকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। কারণ ত্বক যদি ভেতর থেকে পুষ্টি না পায় তাহলে হাজার প্রসাধনী ব্যবহার করলেও নির্জীব দেখাবে। 

পুষ্টিবিদরা বলছেন, সঠিক খাবার ত্বকের সমস্যা থেকে বাঁচতে সাহায্য করে। এমন কিছু খাবার আছে যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। প্রতিদিনের মেন্যুতে যে খাবারগুলো রাখলে ত্বক পুষ্টি লাভ করবে, সুন্দর ও  উজ্জ্বল হবে চলুন জেনে নেই সেগুলো কী-

গাজর
গাজরে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন আছে, যা শরীরে গিয়ে ভিটামিন-এ তে পরিণত হয়। নিয়মিত গাজর খেলে ত্বক সজীব ও উজ্জ্বল থাকবে। গাজর ত্বকের টিস্যুগুলোকে মেরামত করে এবং ক্ষতিকর সূর্য রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সহায়তা করে।

কলা
কলা ত্বক ভালো রাখার জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি ফল। এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন-এ, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। পাশাপাশি এটি ত্বকের মলিনভাব দূর করতেও সাহায্য করে।

পানি
ত্বক ভালো রাখতে বেশি করে পানি পান করার বিকল্প নেই। প্রতিদিন কমপক্ষে দুই লিটার পানি খাওয়া উচিত। পানি ত্বকের ভাঁজ দূর করার পাশাপাশি শরীরে চিনি জমতে দেয় না। শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান ঘামের মাধ্যমে বের করে দেয় পানি। পর্যাপ্ত পানি পেলে ত্বকের কোষে পানি পৌঁছায় এবং ত্বক সজীব দেখায়। পরিমিত পানি খেলে ব্রণের উপদ্রবও কমে।

ভিটামিন সি যুক্ত ফল
ভিটামিন সি যুক্ত ফল ত্বকের সজীবতা বাড়িয়ে তোলে। নিয়মিত এ ধরণের ফল খেলে ত্বক সতেজ থাকে। পেয়ারা, আনারস, পেঁপে, নানা রকম বেরি জাতীয় ফল ইত্যাদি ত্বককে সহজে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।

বাদাম
বাদাম ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড এবং ভিটামিন ইর একটি অন্যতম উৎস। নিয়মিত খাবারের তালিকায় বাদাম রাখলে এর পুষ্টি উপাদানগুলো ত্বককে আরও সজীব ও মোহনীয় করে তুলবে।

মিষ্টি কুমড়া
ত্বকের যত্নে সবজি হিসেবে মিষ্টি কুমড়া অনেক উপকারী। মিষ্টি কুমড়ায় থাকা বিটা ক্যারোটিন শরীরে ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে। ত্বককে সজীব, নরম ও সতেজ রাখতে সক্ষম মিষ্টি কুমড়া। তাই খাবারে মিষ্টি কুমড়া অবশ্যই রাখবেন।

কুমড়ার বীজ
মিষ্টি কুমড়ার বীজ ত্বকের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে। জিঙ্ক ত্বকের কোষগুলোকে সজীব করে এবং ভেতর থেকে পুষ্টি যোগায়। তাই নিয়মিত কুমড়ার বীজ খেতে পারলে ত্বক থাকবে সজীব ও প্রাণবন্ত।

ব্রোকলি
ব্রোকলিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ত্বকে গভীর থেকে পুষ্টি যোগায়। ভিটামিন-ই সূর্যের অতি বেগুনী রশ্মির ক্ষতি থেকেও ত্বককে রক্ষা করে।

মাছ
মাছে ওমেগা ৩ ফ্যাট থাকে যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এই মাছ ত্বকের কোষ সজীব রাখে এবং ত্বককে ক্যান্সারের থেকে রক্ষা করে।

গ্রিন টি
গ্রিন টির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত গ্রিন টি পানের অভ্যাস ত্বকে ব্রণের সমস্যা কমায় এবং বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে।

কফি
কফি পান করলেও ত্বকের ক্ষেত্রে উপকার পাওয়া যেতে পারে। তবে কফি পানের পরিমাণ যেন মাত্রাতিরিক্ত না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।

লেবু
ভিটামিন সি এর অন্যতম প্রধান উৎস হলো লেবু। প্রতিদিন লেবু খাওয়ার অভ্যাস করুন। কারণ এই ফলে আছে প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং দাগ-ছোপ দূর করতে লেবু ব্যবহার করা হয়, আবার ভেতর থেকে টক্সিন বের করে দিতে লেবু খাওয়ার বিকল্প নেই।

এসব ফল নিয়মিত খাওয়া চেষ্টা করুন। তাহলে বেশিদিন ত্বক ভালো রাখতে পারবেন।

Link copied!