জীবনকে সহজ করার জন্য কত ধরণের পদ্ধতির আবিষ্কার হয়েছে। ১০-১০-১০ পদ্ধতি তেমনই একটি পদ্ধতি। যার মাধ্যমে সহজ হবে জীবনযাত্রা। অবাক হচ্ছেন, হ্যা ১০-১০-১০ পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি জীবনযাত্রাকে সহজ করে নিতে পারেন। বিশেষ করে, এই পদ্ধতি কাজ করে দৈনন্দিন কাজের ক্ষেত্রে। প্রতিদিন ঘরকে পরিষ্কার কিংবা ঘরের অপ্রয়োজনীয় সামগ্রীকে ফেলে নতুনভাবে সাজিয়ে নিতে এই পদ্ধতি কার্যকর।
১০-১০-১০ পদ্ধতি আসলে খুবই সহজ। মাত্র ১০ মিনিটে ঘরের ১০ স্থানে থাকা ১০টি অপ্রয়োজনীয় বস্তু সরিয়ে ফেলে পরিষ্কার করে নেওয়াই হচ্ছে এই পদ্ধতির মূল কাজ।
ঘরের অনেক সামগ্রী থাকে, যা কোনো কাজে আসে না। বরং বিভিন্ন কোণে জমে থাকে। যা ঘরকে অগোছালো করে রাখে। যা সরিয়ে ফেললেই ঘরটা প্রশান্তিময় হয়ে উঠে। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় `ডিক্লাটার`। ব্যস্ততার কারণে কিংবা আলসেমির কারণে এই কাজে সময় ব্যয় করা হয় না। দীর্ঘদিন ঘরে একইভাবে পড়ে থাকে জিনিসগুলো। যা ঘরের সুন্দর পরিবেশকে নষ্ট করে। এমন ব্যস্ত মানুষদের জন্যই হচ্ছে ১০-১০-১০ পদ্ধতি।
১০-১০-১০ পদ্ধতিতে নিজের ঘরকে পাঁচতারকা হোটেলের মতো সাজিয়ে নিতে পারবেন। এরজন্য মাত্র একটি দিনই যথেষ্ট। প্রতি মাসে একটা দিন ১০-১০-১০ পদ্ধতি অনুসরণ করুন। ঘর থেকে অপ্রয়োজনীয় জিনিস বের করে দিন। প্রতি মাসেই অন্তত দশটির মতো অপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সরিয়ে নিন। ঘর পরিপাটি হয়ে উঠবে।
১০-১০-১০ পদ্ধতিতে কী করতে হবে
পুরো বাড়িতে একবার হেঁটে আসুন। নোটবুক সঙ্গে রাখুন। বইয়ে বোঝাই বুকশেলফ বা কাপড়ের বোঝাই আলমারির দিকে নজর দিন। তালিকা করুন। এবার তিনটি ভাগে সবকিছুকে ভাগ করে নিন। পছন্দের পোশাক ও উপহারের পোশাক গুলো ডিক্লাটার করতে যাবেন না। উপহার এবং স্মৃতিবাহী সামগ্রীগুলো একটি ভাগে রাখুন।
কিছুদিন পরপর নতুন পোশাক কিনছেন। পুরনো পোশাক পড়ে থাকে অযত্নে। পরিধানের যোগ্য থাকা অবস্থায়ই সেই পোশাক অন্যকে দিয়ে দিন। সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে পুরোনো পোশাক থেকে শুরু করে বই, আসবাবপত্র, ইনডোর প্ল্যান্টস, শোপিস সবই রি-সেল করা হয়। ডিক্লাটারিং লিস্টের দ্বিতীয় ভাগে এমন সামগ্রীই রাখুন যা অন্যকে দিয়ে দিবেন কিংবা রি-সেল করবেন।
এবার তালিকায় তৃতীয় ভাগে মেয়াদোত্তীর্ণ সামগ্রী বা পোশাক রাখুন। ছেঁড়াফাটা পোশাক, পুরনো অন্তর্বাস, টাইট বা ঢোলা জিন্স, রঙচটা তৈজসপত্র, নষ্ট যন্ত্রপাতি, ভাঙা টব, হ্যাঙ্গার, অপ্রয়োজনীয় মেডিকেল রিপোর্ট এই তালিকায় রাখুন। এবার তালিকা ধরে সব সরিয়ে নিন। ঘরের জঞ্জাল অনেকটাই কমে যাবে। মনে রাখবেন, ১০ মিনিটে ১০টি স্থানের অন্তত ১০টি জিনিস অবশ্যই ফেলে দিবেন। প্রতি মাসেই এই পদ্ধতি কাজে লাগান। আপনার ঘরের সৌন্দর্য বেড়ে যাবে।
সূত্র: কান্ট্রি লিভিং







































