• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩০, ১৬ রজব ১৪৪৬

ফোনে কথা বলার শিষ্টাচার


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২১, ০২:৪৩ পিএম
ফোনে কথা বলার শিষ্টাচার

মোবাইল ফোন ছাড়া এক মুহূর্ত যেন কল্পনা করা যায় না। নিত্যপ্রয়োজনীয় এই যোগাযোগ মাধ্যমে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের খবর দ্রুত পৌঁছে যাচ্ছে। তেমনই ইন্টারনেটের বদৌলতে এখন বিশ্বের খবরও থাকছে হাতের মুঠোয়। বড়-ছোট সবার হাতেই এখন স্মার্ট ফোন। ঘুম থেকে উঠেই সবার আগে ফোনটাকেই খুঁজি আমরা।

কর্মজীবী শ্রেণি, শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বয়োজ্যেষ্ঠ সবাই এখন স্মার্ট ফোন চালানোয় অভ্যস্ত। কথা বলা ছাড়াও গান শোনা, ভিডিও করা, গেইম খেলা অনেকভাবেই সময় কাটানো যায় স্মার্ট মোবাইল ফোন দিয়ে। তবে যারা নতুন মোবাইল ব্যবহার তারা অনেকেই খুটিনাটি বিষয়গুলোতে অভ্যস্ত থাকেন না। কৌতুহলে মোবাইল ফোন ব্যবহার উপভোগ করলেও কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা নিতান্তই ভদ্রতা।

ফোনে কথা বলার খুব সাধারণ কিছু নিয়ম রয়েছে। আমাদের অনেকেই তা জানলেও অসচেতনার কারণে ভুল হয়ে যায়। যার ফলে আমাদের এই ফোনালাপ অনেকের কাছেই বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আজকের আয়োজনে জেনে নিব ফোনে কথার বলার সাধারণ কিছু শিষ্টাচার_

  • অপরিচিত কারো সাথে ফোনে প্রথম যুক্ত হলে প্রথমেই নিজের পরিচয় দিয়ে কথা বলা শুরু করুন। কেন ফোন করেছেন এবং কার সঙ্গে কথা বলতে চাচ্ছেন, তা আগে পরিষ্কার করে নিন।
  • কখনও লাউডস্পিকার দিয়ে কথা বলবেন না। মনে রাখবেন, অপরপাশে যে ব্যক্তি কথা বলছে তিনি শুধু আপনার উদ্দেশ্যেই কথা বলছেন। কাজেই তার প্রয়োজনীয় কথা অন্যদের শোনানোর কোনো দরকার নেই।
  •  ফোনে উচ্চস্বরে কথা বলবেন না। এটা অত্যন্ত খারাপ একটি অভ্যাস। আপনি যত জোরে কথা বলুন না কেনো বিপরীত পাশের মানুষের কিন্তু তাতে কোনো তারতাম্য ঘটবে না। বরং আপনার উচ্চস্বরে কথা বলার কারণে আপনার পাশের মানুষটি চরম বিরক্ত হতে পারে।
  • অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন এলে অযথা খারাপ ব্যবহার করবেন না। যদি বুঝতে পারেন ভুল নাম্বারে ফোন এসেছে তাহলে যে ফোন করেছেন তাকে মার্জিতভাবে বলে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে ‍দিন।
  • অফিসে কোনো গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা বা মিটিংয়ে ফোনটি অবশ্যই নীরব আছে কিনা তা নিশ্চিত করুন।
  • ফোন রিসিভ করতে না পারলে একটি মেসেজ করুন। তাতে অপেক্ষামান মানুষটি আপনার ফোন রিসিভ না করার কারণ জানতে পারবে। 
  • যাত্রাপথে ফোনে জোরে গান শুনবেন না। প্রয়োজনে হেডফোন ব্যবহার করুন।
  • কারও অনুমতি ব্যতিত তার ফোন রিসিভ করবেন না। অনেক সময় দেখা যায় অনেকে পরিচিত জনের মেসেজ দেখে। এটা সব থেকে গর্হিত একটি কাজ। কখনও এমনটি করবেন না।
  • ফোনে প্রয়োজনের বেশি সময় ধরে অপ্রাসঙ্গিক কথা বলা ঠিক নয়। কাজেই আপনার প্রয়োজন মিটে গেলে কথা শেষ করার অভ্যাস তৈরি করুন।
  •  ব্যক্তিগত কথাগুলো সবার সামনে ফোনে আলোচনা করবেন না। সবাই বিষয়টি ভালোভাবে নাও নিতে পারে। তাই আপনার ব্যক্তিগত ফোন আসলে একটু অড়ালে যেয়ে স্বাচ্ছন্দে কথা বলুন।
  •  আবার যখন আপনি কারো সাথে থাকবেন তখন যদি কোনো ফোন আসে তাহলে অবশ্যই সাথে থাকা মানুষটির কছে সময় চেয়ে কথা বলুন এবং দ্রুত কথা শেষ করার চেষ্টা করুন। এতে করে আপনার সাথে থাকা মানুষটিকে সঠিক মূল্যায়ন করা হবে।
  • ফোনের রিংটোন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যা আপনার ব্যক্তিত্ব প্রকাশে সাহয্য করে। কাজেই এদিকেও সমান নজর রাখতে হবে।
  • কথা শেষ হলে শুভপ্রার্থনা বা শুভকামনা জানিয়ে কথা শেষ করুন। কথার মাঝেই  হঠাৎ করে লাইন কাটবেন না।
Link copied!