পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলার পর কৌশলগত সামুদ্রিক পথ হরমুজ প্রণালি বন্ধের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ইরানের পার্লামেন্ট। এমন পরিস্থিতিতে বড় বড় তেলবাহী জাহাজ এই পথ এড়িয়ে চলা শুরু করেছে।
সোমবার (২৩ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গ।
ব্লুমবার্গের তথ্যমতে, দুটি বিশাল তেলবাহী জাহাজ কোসইউসডম লেক ও সাউথ লয়্যালটি, যার একেকটি প্রায় ২০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল বহনে সক্ষম, তারা হঠাৎ দিক পরিবর্তন করেছে। রোববার (২২ জুন) তারা হরমুজ প্রণালীতে প্রবেশ করলেও, স্যাটেলাইট ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায়, জাহাজ দুটি পথ ছেড়ে সরে গেছে।
এদিকে ইরানি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, দেশটির পার্লামেন্ট হরমুজ প্রণালি বন্ধের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। ফলে এখন ইরান চাইলে যে কোনো সময় প্রণালীটিতে তেলবাহী জাহাজ চলাচলে বাধা দিতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সতর্ক করে বলেন, “আমি চীনের প্রতি আহ্বান জানাব, তারা যেন এ বিষয়ে ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ করে। কারণ চীন বিপুল পরিমাণ তেল এই প্রণালি দিয়ে আমদানি করে। এই প্রণালি বন্ধ করা হলে তা হবে ইরানের জন্য আরেকটি ভয়ানক ভুল, যা অর্থনৈতিক আত্মহত্যার শামিল।”
বিশ্বের প্রায় ২০ শতাংশ তেল সরবরাহ হয় হরমুজ প্রণালি দিয়ে। এটি বন্ধ হলে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম হঠাৎ বাড়বে এবং চীন, ভারত ও জাপানসহ বড় আমদানিকারক দেশগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।