নাগরিকদের ‘অবিলম্বে’ রাশিয়া ছাড়ার নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রের

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক সাংবাদিককে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক করেছে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি। বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই সাংবাদিকের নাম ইভান গার্শকোভিচ। আটকের বিষয়টি গত বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) নিশ্চিত করেছে রাশিয়ার শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা। গোপন তথ্য হস্তগত করার চেষ্টাকালে ইউরাল পর্বতাঞ্চলের ইয়েকাতেরিনবার্গ শহর থেকে ইভান গার্শকোভিচকে আটক করা হয়েছে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, মস্কো থেকে এক হাজার মাইল দূরের ইয়েকাতেরিনবার্গে কাজ করার সময় গত বুধবার ইভানের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

এফএসবির দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশে কাজ করার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছে। তিনি রাষ্ট্রের গোপনীয় তথ্য সংগ্রহের সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। তাকে আনুষ্ঠানিক গ্রেপ্তার দেখিয়ে মস্কোর একটি আদালতে তোলা হয়েছে। আদালত ২৯ মে পর্যন্ত তাকে কারাগারে রাখার আদেশ দিয়েছেন।

মার্কিন সাংবাদিককে আটকের ঘটনায় হোয়াইট হাউস কঠোর ভাষায় নিন্দা করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ইভান গার্শকোভিচকে আটকের ঘটনায় তিনি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, তারা দ্রুত ইভান গার্শকোভিচের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু রাশিয়ার পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাননি।

বিবিসি বলছে, গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হলে গার্শকোভিচের ২০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

এদিকে মার্কিন সাংবাদিককে আটক করার ঘটনায় রাশিয়ায় অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের ‘অবিলম্বে’ সে দেশ ছাড়তে অনুরোধ জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) নিজেদের নাগরিকদের প্রতি ব্লিঙ্কেন এই আহ্বান জানান। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে ব্লিঙ্কেন লিখেছেন, “একজন মার্কিন সাংবাদিককে আটক করা হয়েছে বলে রাশিয়ার ঘোষণায় তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হলো, বিদেশে থাকা মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা। আপনি রাশিয়ায় বসবাস বা ভ্রমণরত মার্কিন নাগরিক হয়ে থাকলে অনুগ্রহ করে অবিলম্বে দেশটি ত্যাগ করুন।”

বিবৃতিতে ব্লিঙ্কেন আরও লিখেছেন, সম্ভাব্য সবচেয়ে জোরালো ভাষায় তারা সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের কণ্ঠকে ভয় দেখানো, দমন ও শাস্তি দেওয়ার ক্রেমলিনের অব্যাহত প্রচেষ্টার নিন্দা জানান।