হন্ডুরাসে নারী কারাগারে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত ৪১

হন্ডুরাসের একটি নারী কারাগারে দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় একটি গ্রুপ সেলের ভেতর আগুন ধরিয়ে দেয়। নিহতদের অধিকাংশ আগুনে পুড়ে মারা গেছে। এ ছাড়া কয়েকজন ছুরিকাঘাত ও গুলিবিদ্ধ হয়েও প্রাণ হারায়। মঙ্গলবার (২০ জুন) এ ঘটনা ঘটে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, হন্ডুরাসের রাজধানী তেগুসিগালপার উত্তর-পশ্চিমে একটি নারী কারাগারের ভেতর দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সহিংসতা অন্তত ৪১ জন নিহত হয়েছেন। কারাগারটিতে একসঙ্গে ৯০০ বন্দি থাকতে পারেন। যারা নিহত হয়েছেন, তারা সবাই কয়েদি কিনা সেটি এখনো নিশ্চিত নয়। এ ঘটনায় আহত কয়েকজন বন্দিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

কারা কর্মচারীরা জানান, আহত অন্তত ৭ জনকে তেগুসিগালপা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্ট জিওমারা ক্যাস্ট্রো এ সহিংসতার জন্য অপরাধী গ্রুপগুলোকে দায়ী করেছেন। দেশটির কারা ব্যবস্থায় এসব গ্রুপের ব্যাপক ক্ষমতা রয়েছে।

পাবলিক প্রসিকিউটর অফিসের মুখপাত্র ইউরি মোরা বলেছেন, মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও সহিংসতার কারণ সম্পর্কে জানা যায়নি।

দেশটির উপনিরাপত্তামন্ত্রী জুলিসা ভিলানুভা এ সহিংসতার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন। এছাড়া আহতদের উদ্ধার এবং সহিংসতা থামাতে তাৎক্ষণিকভাবে দমকলকর্মী, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ অনুমোদন করেন।

কারাগারে আটক বন্দিদের পরিবারের প্রতিনিধিত্বকারী ডেলমা ওরডোনেজ জানিয়েছেন, সহিংসতায় কারাগারটির একটি অংশ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, নারী কারাগারটির ভেতর থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী বের হচ্ছে।

কয়েক দিন আগে দেশটির সরকারি দপ্তরগুলোতে শুদ্ধি অভিযান চালানো হয়। এর পর হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা বেড়ে যায়। দক্ষিণ আমেরিকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যেসব মাদক পাচার হয়, সেগুলো হন্ডুরাস প্রতিবেশী এলসালভাদর এবং গুয়েতেমালা হয়ে আসে।

মধ্য আমেরিকার দেশ হন্ডুরাস গ্যাং ও দুর্নীতির জন্য পরিচিত। কয়েকদিন আগে দেশটির সরকারি দপ্তরগুলোতে শুদ্ধি অভিযান চালানো হয়। এরপর হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা বেড়ে যায়। ২০১৯ সালে হন্ডুরাসের বন্দর নগরী তেলাতে কারাগারে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।