নিষিদ্ধের পর ছয়জন খ্যাতনামা সাংবাদিককে টুইটার অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দিয়েছেন ইলন মাস্ক। সম্প্রতি এই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তার পরিবারকে ঝুঁকিতে ফেলার অভিযোগ আনেন তিনি। এই অভিযোগের ভিত্তিতে কোনো ধরনের সতর্কতা ছাড়াই সিএনএন, নিউইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্টে কর্মরত এই সাংবাদিকদের সামাজিক মাধ্যমটিতে নিষিদ্ধ করা হয়।
ইলন মাস্কের এই সিদ্ধান্তের পর শুরু হয় তুমুল সমালোচনা। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় জাতিসংঘ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, সরকারি কর্মকর্তা, অ্যাডভোকেসি গ্রুপ ও সাংবাদিকদের সংগঠনগুলো।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) এই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মাস্ক অভিযোগ আনেন, তারা তার অবস্থান সম্পর্কিত তথ্য সরাসরি প্রকাশ করে। ফলে ঝুঁকিতে পড়ে তার পরিবার। তবে জনগণের আবেদনকে সম্মান জানিয়ে শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) অ্যাকাউন্টগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন মাস্ক। এক টুইটার বার্তায় তিনি এই কথা লেখেন।
সবশেষ এই বিতর্ক শুরু হয় মাস্ক গত বুধবার ‘ইলনজেট’ নামের একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার পর। এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ইলন মাস্কের ব্যক্তিগত উড়োজাহাজের গতিবিধির ওপর নজর রাখা হতো।
মাস্ক জানান, লস অ্যাঞ্জেলেসে তার এক সন্তানকে বহন করা গাড়িকে ‘এক বেপরোয়া উত্ত্যক্তকারী’ অনুসরণ করার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি ছিল। মাস্ক এ ঘটনার জন্য তার ব্যক্তিগত উড়োজাহাজের গতিবিধি নজর রাখাকে দায়ী করছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ইলনজেট অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়াসহ ঘটনাটি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেন কয়েকজন সাংবাদিক। বিষয়টিকে তিনি ও তার পরিবারকে ‘গুপ্তহত্যায় অবস্থান জানিয়ে দেওয়ার’ শামিল বলে মন্তব্য করেন মাস্ক।
এ নিয়ে টুইটারে এক লাইভে নিজের দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেননি মাস্ক। তবে তিনি বলেন, “কয়েকজন সাংবাদিকের টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সবাইকে সমান চোখে দেখা হবে। সাংবাদিক বলে তারা বিশেষ কেউ নন।”