• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা: আহতদের রক্ত দিতে হাসপাতালে মানুষের ভিড়


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ৩, ২০২৩, ০১:২৩ পিএম
ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা: আহতদের রক্ত দিতে হাসপাতালে মানুষের ভিড়

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় ওডিশা রাজ্যে দুটি ট্রেন ও একটি মালগাড়ির সংঘর্ষে ২৮৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৯০০ জনের বেশি। ট্রেনের ভেতর থেকে একের পর এক মরদেহ উদ্ধার করা হচ্ছে। ভেতরে আটকা পড়েছেন অনেকেই। ফলে নিহত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে ওডিশার বালেশ্বর জেলার বাহাঙ্গাবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এদিকে এ ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতদের জন্য শত শত মানুষ স্বেচ্ছায় রক্তদানের জন্য হাসপাতালে ছুটে গেছেন।

শনিবার (৩ জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফার্স্টপোস্ট এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরই অনেকে রক্ত দানে ছুটে আসেন।

ওডিশার মুখ্য সচিব প্রদীপ জেনা সংবাদমাধ্যকে বলেছেন, “মানুষ স্বেচ্ছায় রক্ত দিতে আসছে। আমি অনেক জায়গা থেকে অনুরোধ পাচ্ছি এটি একটি ভাল লক্ষণ। দুর্ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত স্থানীয় লোকেরা আমাদের উদ্ধারকারী দলগুলোকে প্রচুর সহায়তা প্রদান করছে।”

রাজ্যের বিশেষ ত্রাণ কমিশনার সত্যব্রত সাহু জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। ভুবনেশ্বরের এইমসসহ আশেপাশের জেলাগুলোতে সব সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে।

প্রদীপ জেনা আরও জানিয়েছেন, আহতদের সাহায্য করার জন্য রাতে বালেশ্বর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ২ হাজারেরও বেশি লোক জড়ো হয়েছিল এবং অনেকে রক্তও দান করেছিলেন। স্বেচ্ছাসেবকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে তিনি লিখেছেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে সমস্ত স্বেচ্ছাসেবকদের কাছে ঋণী এবং কৃতজ্ঞ যারা একটি মহৎ উদ্দেশ্যে রক্ত দান করেছেন।

স্বতঃস্ফূর্তভাবে মানুষ রক্ত দিতে আসার ব্যাপারে ডক্টর রবি দিয়োরা নামের এক ব্যক্তি টুইটারে লিখেছেন, “এজন্যই ভারত বসবাসের জন্য অন্যতম সেরা একটি দেশ। সংস্কৃতি, নীতি এবং সহায়তার মনোভাব ভারতীয়দের রক্তে আছে। যারা রক্ত দেওয়ার জন্য লাইন ধরেছেন তাদের সবার জন্য অনেক গর্বিত।”

এদিকে ভারতীয় রেলওয়ে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ভুবনেশ্বরের কর্মকর্তারা বলেছেন, দুর্ঘটনাস্থলে ১১৫টি অ্যাম্বুলেন্স, ৫০টি বাস এবং ৪৫টি মোবাইল হেলথ ইউনিট ১ হাজার ২০০ জন কর্মী কাজ করছে। ট্রাক্টরসহ সব ধরনের যানবাহনে করে লাশগুলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

এছাড়া দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২ লাখ রুপি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি আহতদের ৫০ হাজার রুপি করে সহায়তা দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। এছাড়া নিহতদের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি ও গুরুতর আহতদের ২ লাখ রুপি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

Link copied!