• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

নাগার্নো-কারাবাখ থেকে হাজার হাজার আর্মেনিয়ান পালাচ্ছেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩, ১০:২১ এএম
নাগার্নো-কারাবাখ থেকে হাজার হাজার আর্মেনিয়ান পালাচ্ছেন
ছবি: সংগৃহীত

প্রায় ৩০ হাজার জাতিগত আর্মেনিয়ান নাগার্নো-কারাবাখ থেকে পালিয়ে গেছেন। গত সপ্তাহে ১ লাখ ২০ হাজার জনসংখ্যার ছিটমহলটিতে আজারবাইজান অভিযান চালায়। এরপর সেখানকার জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশ অঞ্চলটি ত্যাগ করে আর্মেনিয়া প্রবেশ করেছেন। খবর বিবিসির।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আর্মেনিয়ার দিকে যাওয়ার একমাত্র রাস্তায় শত শত গাড়ি যাচ্ছে। গাড়িগুলোর লক্ষ্য সীমান্তের অপর পাশের গোরিস শহর।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ছিটমহলটির হাজার হাজার জাতিগত আর্মেনিয়ান বাসিন্দারা সীমান্ত অতিক্রম করার সময় আজারবাইজানি সীমান্ত কর্তৃপক্ষের কঠোর পরীক্ষার মুখোমুখী হয়।

আজারবাইজানীয় কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, তারা সন্দেহভাজন ‘যুদ্ধাপরাধীদের’ সন্ধান করছে। একটি সরকারী সূত্র এজেন্স ফ্রান্স প্রেস নিউজ এজেন্সিকে জানিয়েছে যে দেশটি ‘কারাবাখে তাদের অস্ত্র জমা দেওয়া আর্মেনিয়ান যোদ্ধাদের জন্য সাধারণ ক্ষমা’ প্রয়োগ করতে চায়।

ওই সূত্র আরও বলেন, “তবে কারাবাখ যুদ্ধের সময় যারা যুদ্ধাপরাধ করেছে তাদের অবশ্যই আমাদের হাতে তুলে দিতে হবে।”

এদিকে, আজারবাইজান বলছে নাগার্নো-কারাবাখের বাসিন্দারা নিরাপদ থাকবে। কিন্তু আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সেখানে ‘জাতিগত নিধন’ শুরু হয়েছে।

তিন দশক ধরে জাতিগত আর্মেনিয়ানদের দ্বারা পরিচালিত নাগার্নো-কারাবাখ আজারবাইজানের অংশ হিসাবে স্বীকৃত। দক্ষিণ ককেশাসের পার্বত্য এই অঞ্চলটিকে সমর্থন দেয় আর্মেনিয়া এবং তার মিত্র রাশিয়াও।

গত সপ্তাহে আজারবাইজান অভিযান শুরুর পর অন্তত ২০০ জাতিগত আর্মেনিয়ান ও কয়েক ডজন আজারবাইজানি সৈন্য নিহত হন। পরে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসাবে, বিচ্ছিন্নতাবাদীরা তাদের অস্ত্র সমর্পণ করতে সম্মত হয়।

আজেরিরা বলছে, তারা জাতিগত আর্মেনিয়ানদের ‘সমান নাগরিক’ হিসাবে দেখতে চায়। তবে অভিযানের পর সেখানে সীমিত পরিমাণে সাহায্যের অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং অনেক বাসিন্দা পালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) একটি জ্বালানি বিস্ফোরণে অন্তত ৬৮ জন নিহত হযন। এতে আরও প্রায় ৩০০ জন আহত এবং ১০৫ জন নিখোঁজ হন।

সোমবার সন্ধ্যায় খানকেন্দির প্রধান শহরের কাছে কী কারণে বিস্ফোরণ হয়েছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। জায়গাটি আর্মেনীয়দের কাছে স্টেপানাকার্ট নামে পরিচিত। তবে অনেকেই তাদের গাড়ি সেখান থেকে রিফিল করছিলেন।

Link copied!