চীনের ১৫ জন শিশুর কয়েকটি ছবি সারা বিশ্বের নজর কেড়েছে। পাহাড়ের ওপরে তাদের বাড়ি। স্কুল শেষে বাড়ি ফিরতে মইয়ে চড়ে ৮০০ মিটার ওপরে উঠতে হয় তাদের। শিশুদের এমন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুল থেকে ফেরার দৃশ্য দেখে অবাক না হয়ে পারা যায়!
জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে এক ফটোস্টোরিতে এসব জানিয়েছে।
বিজ্ঞান প্রযুক্তি, খেলাধুলায় কিংবা অর্থনীতি বলতে গেলে সবদিকেই দ্রুত উন্নতির পথ ধরে এগিয়ে চলছে চীন। ইউনেস্কোর সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী, চীনে শিক্ষার বর্তমান হার ৯৬ দশমিক ৪ শতাংশ। জ্ঞান-বিজ্ঞানে চীনের খ্যাতি অবশ্য প্রাচীন কাল থেকেই।
![](https://86818.cdn.cke-cs.com/QOKezuxUuZpoGw7a0M0R/images/218e55f5b3a1e4d433c64e93506028ad513cdf521f629c90.jpg)
চীনে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই তাই কমিউনিস্ট শাসিত দেশটির প্রসঙ্গে দ্রুত উন্নতির বিষয়টি পাশাপাশিই সংবাদমাধ্যমের ওপর সরকারের অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিও আলোচনায় আসে।
হ্যাঁ সেই চীনের গণমাধ্যমেই এসেছে ১৫টি শিশুর এমন কিছু ছবি যা দেখে শুধু চীন নয়, বলতে গেলে বিশ্বের প্রায় সব দেশের মানুষই বিস্ময়ে হতবাক।
ছবিতে দেখা যায়, ৬ থেকে১৫ বছর বয়সী ১৫টি শিশু খাড়া পাহাড়ের গায়ে মই বেয়ে বেয়ে ৮০০ মিটার ওপরের ছোট্ট এক গ্রামে ফিরছে। পশ্চিম চীনের সিচুয়ান প্রদেশের পাহাড়ের ওপরের সেই গ্রামটির নাম আতুলির।
![](https://86818.cdn.cke-cs.com/QOKezuxUuZpoGw7a0M0R/images/46ebc9ee30519d39225fc1192929554a3f4fc216fe3e6ba7.jpg)
৭২টি পরিবার বসবাস করছে ওই গ্রামে। যাদের সবাই কৃষিজীবী। বাঁশের মই বেয়ে বেয়ে তো আর ফসল নিয়ে নামা সম্ভব নয়। আর লোহার মই কিংবা ভালো সড়ক তৈরি করার মতো আর্থিক সক্ষমতাও গ্রামবাসীর নেই। ভালো সড়ক হলে চাষিরা ফসল নিয়ে দূরের বাজারে গিয়ে ভালো দামে সেই ফসল বিক্রি করতে পারে ভেবে ফড়িয়ারাও এতদিন সেখানে সড়ক তৈরি হতে দেয়নি।
তকে সম্প্রতি দেশটির এক ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত হয় আতুলির গ্রামের শিশুদের মই বেয়ে বেয়ে ৮০০ মিটার ওপরের বাড়ির দিকে যাত্রা করার দৃশ্য।
গ্রামের আশেপাশে কোনো স্কুল নেই। তাই শিশুদের দূরের কোনো স্কুলে যেতে হয়। সেই স্কুলের হোস্টেল থেকে সপ্তাহে দুদিন বাড়ি আসা যায়। সেদিন স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথেই অসম সাহসী শিশুরা ক্যামেরাবন্দি হয়। তাদের ছবি প্রকাশিত হওয়ার পর সরকার সড়ক নির্মাণে আগ্রহ দেখিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :