• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

মারা গেলেন লিথিয়াম ব্যাটারির জনক সবচেয়ে বয়স্ক নোবেলজয়ী


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২৩, ১০:৫৯ এএম
মারা গেলেন লিথিয়াম ব্যাটারির জনক সবচেয়ে বয়স্ক নোবেলজয়ী

লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন জন গুডেনাফ। তিনি ২০১৯ সালে ৯৭ বছর বয়সে রসায়নে নোবেল পান। বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক এ নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী ১০০ বছর বয়সে মারা গেছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জন গুডেনাফ ১০০ বছর বয়সে মারা গেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রোববার (২৫ জুন) তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট অস্টিন। সেখানে তিনি প্রকৌশলবিদ্যার অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছিলেন।

হালকা ওজনের কিন্তু শক্তিশালী, এই লিথিয়াম ব্যাটারি প্রযুক্তি খাতে বিপ্লব ঘটিয়েছে। ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোনের মতো বহনযোগ্য ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। একই সঙ্গে গাড়ি থেকে শুরু করে সোলার প্যানেলের মতো বড় বড় ডিভাইসও সচল রাখতে কাজ করছে এই লিথিয়াম ব্যাটারি।

জার্মানিতে ১৯২২ সালে এক মার্কিন পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ড. জন গুডেনাফ। পরে তার শৈশব কাটে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তরপূর্বাঞ্চলে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মার্কিন সামরিক বাহিনীতে আবহাওয়াবিদ হিসেবে কাজ করেন তিনি। ইয়েল ইউনিভার্সিটি থেকে গণিতে স্নাতক এবং ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো থেকে পদার্থবিদ্যায় পিএইচডি করেন গুডেনাফ।

গুডেনাফের স্ত্রী আইরিন ওয়াইজম্যান ২০১৬ সালে মারা যান। তাদের পরিবারে কোনো সন্তান ছিল না।

ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অস্টিনের প্রেসিডেন্ট জে হার্টজেল বলেছেন, “তার আবিষ্কার পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষের জীবনকে বদলে দিয়েছে। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় তিনি একজন নেতা ছিলেন। তিনি কখনোই জ্বালানি-মজুতের নানাবিধ সমাধান নিয়ে গবেষণা বন্ধ করেননি।”

ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে কর্মজীবন শুরু করেন জন গুডেনাফ। সেখানে তিনি ২৪ বছর অধ্যাপনা ও গবেষণায় নিয়োজিত ছিলেন। তিনি কম্পিউটারের র‌্যাম তৈরিতে সহযোগিতা করেছিলেন। আধুনিক চুম্বক তত্ত্বের অন্যতম জনক ছিলেন গুডেনাফ।

২০১৬ সালে বিবিসির জন হামফ্রিস তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, নিজের গবেষণা মানবজীবনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে, এটি জেনে কেমন লাগে। জবাবে গুডেনাফ বলেছিলেন, তিনি এই দিকটি নিয়ে ততটা ভাবেননি।

বিবিসির জন হামফ্রিসকে সেসময় গুডেনাফ মজা করে জানিয়েছিলেন, তার নিজেরই মোবাইল ফোন নেই, কারণ তিনি বিরক্ত হতে পছন্দ করেন না। জন গুডেনাফ ও তার ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের টিম সম্প্রতি কাচের তৈরি ব্যাটারির মাধ্যমসহ জ্বালানি মজুতের বিভিন্ন সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছিলেন।

Link copied!