• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,
চীনের মহড়ার প্রতিক্রিয়া

যুক্তরাষ্ট্র-ফিলিপাইনের সবচেয়ে বড় মহড়া শুরু


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১১, ২০২৩, ০১:৪২ পিএম
যুক্তরাষ্ট্র-ফিলিপাইনের সবচেয়ে বড় মহড়া শুরু

তাইওয়ানকে ঘিরে চীন বড় ধরনের সামরিক মহড়া শেষ করার এক দিন পর যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপাইন তাদের সর্বকালের বৃহত্তম যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে। চীনের কড়া হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে গত সপ্তাহে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন বৈঠক করেছেন। এরপর থেকেই তাইওয়ান প্রণালিজুড়ে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। ওয়াশিংটন অবশ্য চীনের এই সামরিক শক্তি প্রদর্শনকে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বলে সমালোচনা করেছে। এ ছাড়া চীনের এই কর্মকাণ্ডকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে সমালোচনা করেছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই। তার দাবি, যুক্তরাষ্ট্রে সফর করার অধিকার তার রয়েছে।

ফিলিপাইনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এই সামরিক মহড়ার পরিকল্পনা আগেই করা হয়েছিল।

ফিলিপিনো এবং মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, তাদের এই মহড়া ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতিকেই তুলে ধরছে। কারণ এই অঞ্চলটি অবাধ ও উন্মুক্ত। ওয়াশিংটন গত মাসে ঘোষণা করে, ফিলিপাইনের সাথে তাদের বার্ষিক বালিকাটান সামরিক মহড়া হবে উভয় দেশের মধ্যে সর্বকালের সবচেয়ে বড়। এই মহড়ায় ১৭ হাজারেরও বেশি সৈন্য অংশগ্রহণ করবে। যার মধ্যে মার্কিন সেনার সংখ্যা ১২ হাজার।

দুই সপ্তাহের এই বালিকাটান মহড়ায় ফিলিপিনো এবং মার্কিন সামরিক বাহিনী দক্ষিণ চীন সাগরে একটি নকল লক্ষ্যবস্তু হিসেবে থাকা যুদ্ধজাহাজও উড়িয়ে দেবে। আর এই ধরনের কর্মকাণ্ড চীনের ক্রোধের কারণ হতে পারে।

মার্কিন ও ফিলিপিনো সামরিক কর্মকর্তারা বলেছেন, এই মহড়াকে তাইওয়ানের পক্ষে প্রতিক্রিয়া হিসাবে দেখা উচিত হবে না।

এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ম্যানিলার সাথে একটি নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তি করে ওয়াশিংটন। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ জলসীমার কাছাকাছি অবস্থিত ফিলিপাইনের দ্বীপগুলোতে চারটি নতুন নৌ ঘাঁটি স্থাপন করা হবে। এর মধ্যে তিনটি ঘাঁটি লুজন দ্বীপের উত্তরে স্থাপন করা হবে। আর এই অঞ্চলটি চীন ছাড়াও তাইওয়ানের নিকটতম এলাকা। ফিলিপাইনের চারপাশে ও দক্ষিণ চীন সাগরের জলপথে বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান বাণিজ্য পথ রয়েছে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই অঞ্চলটি চীনের বিতর্কিত দাবির বিষয় হয়ে উঠেছে।

ফিলিপাইনের ইসাবেলা, কাগায়ান ও পালাওয়ান প্রদেশের আশপাশে এই মহড়া চলছে। ইসাবেলা ও কাগায়ানের উত্তর পাশে তাইওয়ানের অবস্থান। আর পালাওয়ান দক্ষিণ চীনে সাগরের বিতর্কিত স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জের কাছে অবস্থিত।

যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে তাদের সেনাবাহিনীকে স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জের পাশে পাঠিয়ে দিয়েছে। স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জ ফিলিপাইনের অর্থনৈতিক অঞ্চলে অবস্থিত হলেও বেইজিং অঞ্চলটিকে নিজেদের দাবি করে আসছে।

অবশ্য এই অঞ্চলের এক ডজন দেশও বালিকাটান সামরিক মহড়ায় অংশ নেবে। এই মহড়া আগামী ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। মহড়ার জন্য অস্ট্রেলিয়া ১০০ সেনা পাঠিয়েছে বলেও জানিয়েছে বিবিসি।

চীন তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে আসছে। শনিবার শুরু হওয়া চীনের এ মহড়া গত সোমবার (১০ এপ্রিল) পর্যন্ত চলে।

ইউনাইটেড শার্প সোর্ড নামে অভিহিত এ মহড়াটি তাইওয়ানের উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব সীমান্তের জলরাশির আকাশসীমায় অনুষ্ঠিত হয়।

Link copied!