• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

সুদানে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা মানছে না কোনো পক্ষ, লড়াই অব্যাহত


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৯, ২০২৩, ১২:৩৩ পিএম
সুদানে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা মানছে না কোনো পক্ষ, লড়াই অব্যাহত

আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের সহায়তায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় সেনা ও আধা সামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স। টানা চার দিনের ভয়াবহ লড়াই বন্ধে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় উভয় পক্ষ। কিন্তু যুদ্ধবিরতি কার্যকরের কয়েক ঘণ্টা পরও রাজধানী খার্তুমে ভারী লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় সেনা ও আরএসএফ। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পরও খার্তুমের বিভিন্ন জায়গায় প্রচণ্ড গোলাবর্ষণের খবর জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনে একে অপরকে দোষারোপ করে পাল্টাপাল্টি বিবৃতিতে দিয়েছে সেনাবাহিনী ও আরএসএফ।

যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, আরব লিগসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এই সংঘাত বন্ধে উভয় পক্ষকে আহ্বান জানিয়েছে। দ্বন্দ্ব নিরসনে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে মিসর ও দক্ষিণ সুদান।

জাপানে সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মঙ্গলবার এক বক্তব্যে বলেছেন, তিনি দুই প্রতিদ্বন্দ্বী নেতা আব্দেল ফাতাহ আল-বুরহান এবং আরএসএফ নেতা জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালোর সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেছেন। দুজনকে যুদ্ধবিরতির কথা বলেছেন।

এদিকে নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিখ বলেছেন, আমরা এমন কোনো ইঙ্গিত পাইনি যে আসলে সেখানে যুদ্ধ থামানো গেছে।

এর আগে সোমবার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সুদানের যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে ‘অবিলম্বে শত্রুতা বন্ধ করার’ আহ্বান জানান। তিনি সতর্ক করে বলেন, লড়াইয়ের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পেলে তা ‘দেশ ও অঞ্চলের জন্য ধ্বংসাত্মক হতে পারে।’

সুদানিজ ডক্টরস ইউনিয়ন বলেছে, লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত ২০০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে দুই হাজারের বেশি। লড়াইয়ের কারণে খার্তুম এবং অন্যান্য শহরের একাধিক হাসপাতাল ‘ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে। এর মধ্যে কিছু শহরের চিকিৎসা সেবা সম্পূর্ণ ‘পরিষেবার বাইরে’ রয়েছে।

২০২১ সালে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে বেসামরিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। এর পর থেকে সেনাবাহিনীর জেনারেলরা ‘স্বাধীন কাউন্সিলের’ নামে দেশ চালাচ্ছিলেন। এই স্বাধীন কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হলেন জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো। অপর দিকে স্বাধীন কাউন্সিলের প্রধান হলেন জেনারেল আব্দেল ফাতাহ আল-বুরহান।

বেসামরিক সরকার গঠনের অংশ হিসেবে আধা সামরিক বাহিনী আরএসএফকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে একীভূত করার একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়েই সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। সেনাবাহিনী বলছে, আরএসএফকে দুই বছরের মধ্যে সেনাবাহিনীর সঙ্গে একীভূত করা হবে। কিন্তু আরএসএফ বলছে এই একীভূতকরণের প্রক্রিয়া যেন অন্তত ১০ বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরএসএফকে একীভূত করলে সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব কে দেবে, এ নিয়েও দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে।

Link copied!