• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

প্রকৃতি সুরক্ষায় ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৯, ২০২২, ০৭:৪৬ পিএম
প্রকৃতি সুরক্ষায় ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর

কানাডার মন্ট্রিলে ১২ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণবিষয়ক সম্মেলন কপ-১৫ শেষ হয়েছে সোমবার (১৯ ডিসেম্বর)। সম্মেলন শেষে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রকৃতির জন্য পৃথিবীর এক-তৃতীয়াংশ সংরক্ষণ করার ঐতিহাসিক চুক্তি করা হয়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের লক্ষ্যেই এমন চুক্তি করেছে বিশ্ব। পাশাপাশি, রেইনফরেস্ট ও জলভূমির মতো গুরুত্বপূর্ণ বাস্তুতন্ত্র এবং আদিবাসীদের অধিকার রক্ষা করাও লক্ষ্য হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।

সম্মেলনটি চীনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে চীনে করোনার কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়। পরে চীন থেকে ভেন্যু সরিয়ে কানাডার মন্ট্রিলে নিয়ে আসা হয়। তবে সম্মেলন আয়োজন ও পরিচালনার দায়িত্ব ছিল চীন। আর এই চুক্তি স্বাক্ষরেও নেতৃত্ব দেয় দেশটি। যদিও শেষ মুহূর্তে এসে আফ্রিকার দেশ কঙ্গো এ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল।

প্রকৃতি সুরক্ষার বিষয়টি বাস্তবায়ন করা হলে কঙ্গোর মতো পৃথিবীর অনেক দেশ তাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যবহার করতে পারবে না। তাই কঙ্গোর দাবি, এই কাজের জন্য উন্নত দেশগুলোকে অর্থ পরিশোধ করতে হবে, যা পাবে উন্নয়নশীল দেশগুলো। দেশটির প্রতিনিধি বলেন, “যে পার্টিরা উন্নত, তাদের উচিত উন্নয়নশীল পার্টিগুলোকে অর্থ পরিশোধ করা।”

এ ছাড়া ক্যামেরুন ও ব্রাজিলও এই চুক্তিকে পেশিশক্তির ব্যবহার হিসেবে দেখছে।

এই চুক্তি অনুসারে, জিনগত বৈচিত্র্য এবং বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী সুরক্ষায় বাস্তুতন্ত্রগুলোকে নিরাপদ করা হবে; জীববৈচিত্র্যের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে; প্রকৃতির সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টন করা হবে এবং এই সংরক্ষণের জন্য অর্থের প্রবাহ নিশ্চিত করাই হবে মূল লক্ষ্য।

প্রকৃতিকে বাঁচানোর জন্য এই চুক্তিকে শেষ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে অর্থপ্রবাহ নিশ্চিত করাই হবে বড় চ্যালেঞ্জ। চুক্তিতে বলা হয়েছে ২০২০ সালের মধ্যে এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে ২০০ বিলিয়ন ডলার আদায় করা হবে এবং প্রকৃতির জন্য ৫০০ বিলিয়ন ডলার ভর্তুকি আদায়ের জন্য কাজ করা হবে।

এই অর্থায়ন প্যাকেজের আওতায়, প্রকৃতি সুরক্ষার লক্ষ্যে দরিদ্র রাষ্ট্রগুলোকে এখন যে অর্থ দেওয়া হয় তা ২০২৫ সালের মধ্যে তা দ্বিগুণ বা ২০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হবে। এরপর ২০৩০ সাল পর্যন্ত এই অর্থ প্রতিবছর ৩০ বিলিয়ন ডলার করে বাড়ানো হবে।

তবে অর্থায়নের কথা বলা হলেও, কে বা কারা এই অর্থ দেবে, তা স্পষ্ট করা হয়নি। তাই এটিকেই চুক্তি বাস্তবায়নের অন্যতম চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকেরা।

Link copied!