ইউক্রেনের কিয়েভের ৪০ শতাংশ ভোক্তা পানি ছাড়া রয়েছেন। এছাড়া শহরের ২ লাখ ৭০ হাজার বসতবাড়িতে বিদ্যুৎ নেই বলে জানিয়েছেন কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিৎসকো।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান তিনি।
এর আগে, সোমবার ইউক্রেনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর এই পরিস্থিতি তৈরি হয়।
নিজস্ব সরবরাহব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পানির জন্য দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করতে হয়েছে রাজধানী কিয়েভের বাসিন্দাদের। ইউক্রেন বলেছে, দেশজুড়ে ওই হামলায় ১৩ জন আহত হয়েছেন। এদিকে রাশিয়া বলেছে, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা ও জ্বালানি স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।
সোমবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, এসব হামলা সপ্তাহান্তে ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজে হামলার জবাবের অংশ।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলেছে, রাশিয়ার ছোড়া ৫৫টি ক্ষেপণাস্ত্রের ৪৫টিই তারা ভূপাতিত করেছেন। আবারও হামলার আশঙ্কা থাকায় রুশ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনার প্রকৃত চিত্র প্রকাশ করছে না ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ। তবে সোমবারের হামলার পর এর প্রভাব সর্বত্র লক্ষ্য করা গেছে। বিভিন্ন এলাকায় রেশনিং করে লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। কিয়েভের যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেনের অনেক নাগরিক প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছেন।
এছাড়া বিদ্যুৎ ব্যবহারে ‘অত্যন্ত মিতব্যয়ী’ হতে সব ইউক্রেনীয়র প্রতি আহ্বান জানানো হয়। বিদ্যুৎ অপচয় রোধে কিয়েভে সড়কবাতি নিভিয়ে রাখা হচ্ছে। বৈদ্যুতিক বাসের পরিবর্তে চলাচল করছে সাধারণ বাস।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। সন্ধ্যায় দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন বাসাবাড়িতে পরিষেবাগুলোর পুনরায় সংযোগ দিতে কাজ চলছে। তিনি বলেন, “ইউক্রেনীয়দের বেঁচে থাকার ইচ্ছাকে ধ্বংস করার মতো ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার হাতে নেই।”
রাজধানী কিয়েভ ছাড়াও একই দিন লিভিভ, নিপ্রোপেত্রোভস্ক, খারকিভ ও জাপোরিঝঝিয়ায়ও হামলা চালানো হয়। সব মিলিয়ে ১০ অঞ্চলের ১৮টি স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আঘাত হানে বলে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এসব স্থাপনার অধিকাংশই ছিল বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র।
আপনার মতামত লিখুন :