• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সাগরতীরে কৃত্রিম ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সৃষ্টি করছে সৌদি আরব


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২৮, ২০২৩, ১২:২৮ পিএম
সাগরতীরে কৃত্রিম ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সৃষ্টি করছে সৌদি আরব

লোহিত সাগরতীরে কৃত্রিম ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সৃষ্টি করছে সৌদি আরব। উপকূলীয় এলাকায় ২০৩০ সালের মধ্যে লোনা পানি ও আবহাওয়া সহনশীল (ম্যানগ্রোভ) ৫০ মিলিয়ন গাছ লাগাতে চায় দেশটি। বিশেষ সরকারি রেড সি গ্লোবালের (আরএসজি) প্রকল্পের আওতায় এসব গাছ লাগানো হবে। সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়া এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার লক্ষ্যে একটি দীর্ঘমেয়াদী টেকসই কর্ম পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সৌদির পশ্চিম উপকূল বরাবর এই গ্রিন ইনিশিয়েটিভের এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। বাতাস থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস শোষণের ক্ষমতা ম্যানগ্রোভ গাছের বেশি।

সাধারণ গাছপালার চেয়ে ৫ থেকে ১০ গুণ পর্যন্ত কার্বন শোষণের ক্ষমতা রাখে ম্যানগ্রোভ বৃক্ষের। এছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলের ভূমিক্ষয় রোধ এবং বাস্তুসংস্থান রক্ষার ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখে ম্যানগ্রোভ বন।

স্থলভাগের অধিকাংশ গাছপালা সামুদ্রিক পানি ও লোনা আবহাওয়া সহ্য করতে না পারলেও ম্যানগ্রোভ জাতীয় গাছপালা খুব সহজেই এই পরিবেশে ভালোভাবে টিকে থাকতে পারে। লোনা পানির নিয়মিত জোয়ারভাটায় ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল বিকশিত হয়ে থাকে।

রেড সি গ্লোবালের (আরএসজি) প্রকল্পের সিইও জন প্যাগানো বলেন, “ম্যানগ্রোভ বন কার্বন শোষণ, বন্যার ব্যবস্থাপনা এবং উপকূলরেখাকে স্থিতিশীল করার পাশাপাশি মাছ এবং অন্যান্য জীবের আশ্রয় প্রদান করে। এছাড়া ম্যানগ্রোভ বন প্রকৃতিতে একটি সুপার ইকোসিস্টেম গড়ে তোলে। পর্যায়ক্রমে আমাদের ম্যানগ্রোভ নার্সারি সংখ্যা বাড়ানো হবে। আশা করছি, অদূর ভবিষ্যতে মানবসৃষ্ট এই বনাঞ্চল দেশী-বিদেশী পর্যটকদেরও আকৃষ্ট করবে।”

সৌদি ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মাদ বিন সালমান ২০১৮ সালে আরএসজি গঠন করেন। এই প্রকল্প গঠনের মূল উদ্দেশ্য ছিল, জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে সৌদি আরবের জলবায়ুর সঙ্গে খাপ খায় এমন সব উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা। আরএসজি শতভাগ সরকারি প্রকল্প।  সৌদি সরকারই এ প্রকল্পে অর্থায়ন করে।

Link copied!