রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ পশ্চিমাদের একটি ‘মিথ্যার সাম্রাজ্য’ বলে অভিহিত করেছেন। একই সঙ্গে তিনি যুদ্ধে ইউক্রেনের পক্ষে সমর্থন জয়ের জন্য পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে নব্য-ঔপনিবেশিক মানসিকতা গ্রহণের অভিযোগ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বিশ্ব নেতাদের বার্ষিক সমাবেশে তিনি এইসব কথা বলেন। খবর আল-জাজিরার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘের এবারের সমাবেশে ইউক্রেন ও তার পশ্চিমা মিত্ররা রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য কিয়েভের পক্ষে সমর্থন জোগাড় করতে চেষ্টা চালায়। এক সপ্তাহের তীব্র বৈশ্বিক কূটনীতির পর লাভরভ তার বক্তৃতায় বলেন যে ‘বিশ্বের সংখ্যাগরিষ্ঠ’ পশ্চিমাদের দ্বারা প্রতারিত হচ্ছে।
লাভরভ বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ও তার অধীনস্থ সমষ্টি সংঘর্ষকে উসকে দিচ্ছে, যা কৃত্রিমভাবে মানবতাকে বৈরী ব্লকে বিভক্ত করে এবং সামগ্রিক লক্ষ্য অর্জনকে বাধাগ্রস্ত করে। তারা বিশ্বকে তাদের নিজস্ব আত্মকেন্দ্রিক নিয়ম অনুযায়ী চলতে বাধ্য করার চেষ্টা করছে।”
আল জাজিরার কূটনৈতিক সংবাদদাতা জেমস বেস বলেছেন, লাভরভের বক্তৃতা ‘রাশিয়ার দৃষ্টিভঙ্গির বিশ্ব সফর’-এর অংশ ছিল। যাতে ইউক্রেনের কোনো উল্লেখ নেই।
বক্তৃতার পরে একটি সংবাদ সম্মেলনে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি কর্তৃক উত্থাপিত ১০-দফা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। সেইসঙ্গে কৃষ্ণ সাগর শস্য উদ্যোগ পুনরুজ্জীবিত করার জন্য জাতিসংঘের সর্বশেষ প্রস্তাবনাও প্রত্যাখ্যান করেন তিনি।
লাভরভ কিয়েভের প্রস্তাবিত শান্তির নীলনকশা সম্পর্কে বলেন, “এটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। এটা বাস্তবসম্মত নয় এবং সবাই এটা বোঝে, কিন্তু একই সঙ্গে তারা বলে যে এটিই আলোচনার একমাত্র ভিত্তি।”
তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের প্রস্তাবটি কাজ করবে না, কারণ পশ্চিমারা রাশিয়ার একটি ব্যাংকের উপর নিষেধাজ্ঞা অপসারণ এবং এটিকে বিশ্বব্যাপী সুইফট সিস্টেমের সঙ্গে পুনরায় সংযুক্ত করাসহ মস্কোর প্রতি তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাদ্য ও জ্বালানির বাজারের সংকটের জন্য পশ্চিমা দেশগুলোকে দায়ী করেছেন।