সদ্য ক্ষমতাচ্যুত নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি, সিপিএন (মাওবাদী কেন্দ্র) চেয়ারম্যান পুষ্পকমল দাহাল, সিপিএন (একীভূত সমাজবাদী) চেয়ারম্যান মাধবকুমার নেপালসহ একাধিক মন্ত্রীকে নিরাপত্তার কারণে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণকেন্দ্র শিবপুরীতে রাখা হয়েছে।
এক উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তা জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী অলি, উপপ্রধানমন্ত্রী ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ মান সিং, উপপ্রধানমন্ত্রী ও মবের শিকার অর্থমন্ত্রী বিষ্ণু পৌডেল, দাহাল, নেপাল ও অন্য মন্ত্রীদের শিবপুরীর আর্মি কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজে নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে জেনারেশন জেড তরুণদের উদ্দেশে এক চিঠিতে অলি নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি লেখেন, তিনি বর্তমানে শিবপুরীর নিরিবিলি ও নিরাপদ স্থানে অবস্থান করছেন।
সূত্রের বরাত দিয়ে নেপালের সংবাদমাধ্যম সেতুপতি জানিয়েছে, মন্ত্রীদের ভৈনসেপাটির সরকারি বাসভবন থেকে নিয়ে যাওয়া হয় হেলিকপ্টারে করে আর দাহাল ও নেপালকে নিয়ে যাওয়া হয় সিংহ দরবার থেকে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দাহাল সিংহ দরবারে বিরোধী দলের বৈঠক ডেকেছিলেন, সেখানে উপস্থিত ছিলেন নেপালও। এর মধ্যে দাহালের বাসায় বিক্ষোভকারীরা আগুন দিয়েছেন, এমন খবর পৌঁছালে সেনাবাহিনী দ্রুত দুজনকেই শিবপুরীতে সরিয়ে নেয়।
সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী অলির পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। নেপালের সাংবাদিকদের সংগঠন প্রেস চৌতরীর চেয়ারম্যান গণেশ পাণ্ডে সামাজিক মাধ্যমে সেই বিবৃতিটি পোস্ট করেন এবং এটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী অলির লেখা বলে দাবি করেন। চিঠিতে অলি ‘প্রিয় জেন-জি সন্তানেরা’ সম্বোধন করে নিজের অবস্থান শিবপুরীতে বলে উল্লেখ করেন।
বুধবার বেলা ২টায় প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন কে পি শর্মা অলি। এর পরপরই সেনাবাহিনী তাকে বালুওয়াটার থেকে হেলিকপ্টারে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়। একইভাবে প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পৌডেল, মন্ত্রিসভা সদস্য ও অন্য শীর্ষ নেতাদেরও নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে সেনাবাহিনী।