ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (ডাকসু) শিবিরের বড় জয়কে ভারতের ভবিষ্যতের জন্য উদ্বেগজনক ইঙ্গিত বলে মনে করছেন ভারতীয় রাজনীতিবিদ ও সাবেক এমপি শশী থারুর। সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে এমনটা লিখেছেন তিনি।
শশী থারুর তার পোস্টে লিখেছেন, ‘অধিকাংশ ভারতীয় হয়তো বিষয়টিকে সামান্য বিষয় হিসেবে দেখেছে। কিন্তু এটি ভবিষ্যতের জন্য এক উদ্বেগজনক ইঙ্গিত। বাংলাদেশে দুটি প্রধান রাজনৈতিক দল—(এখন নিষিদ্ধ) আওয়ামী লীগ এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টি— দুই দলের প্রতিই মানুষ আস্থা হারাচ্ছে। যারা ‘দুই পক্ষেরই সর্বনাশ হোক’ চাচ্ছেন তারা ক্রমশ জামায়াতে ইসলামীর (জেইআই) দিকে ঝুঁকছেন। এর কারণ এই নয় যে ভোটাররা উগ্রপন্থী বা ইসলামপন্থী মৌলবাদে বিশ্বাসী, বরং জেইআইকে তারা দেখছেন এমন একটি শক্তি হিসেবে, যেটি দুই মূলধারার দলের মতো দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনাসহ কোনোভাবেই কলুষিত হয়নি।’
তিনি লিখেছেন, ‘প্রশ্ন হচ্ছে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে এ পরিস্থিতি কীভাবে প্রতিফলিত হবে? তখন কি নয়াদিল্লিকে তার প্রতিবেশী দেশে জামায়াত সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকারের মুখোমুখি হতে হবে?’
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐক্যবদ্ধ ছাত্র জোটের ব্যানারে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থীরা সহ-সভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এবং সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস)-সহ মোট ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ পদের মধ্যে ৯টিতে জয়ী হয়েছে।
সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে শিবির নেতা আবু সাদিক কায়েম ১৪ হাজার ৪২ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি'র ছাত্র সংগঠন ছাত্রদল নেতা আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৭০৮ ভোট। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম হোসেন ৩ হাজার ৮৮৩ ভোট, আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী ছাত্র ঐক্য প্যানেলের উমামা ফাতেমা পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৮৯ ভোট।
অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আব্দুল কাদের ১ হাজার ১০৩ ভোট এবং প্রতিরোধ পরিষদের তাসনিম আফরোজ এমি মাত্র ৬৮ ভোট পেয়েছেন।
সূত্র: এএনআই