• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

ইসরায়েলে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে লাখো মানুষের বিক্ষোভ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ৫, ২০২৩, ০৬:৩৮ পিএম
ইসরায়েলে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে লাখো মানুষের বিক্ষোভ

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকারের বিচার বিভাগীয় সংস্কার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে আবারও বিক্ষোভে নেমেছেন লাখো ইসরায়েলি নাগরিক। এ নিয়ে টানা নবম সপ্তাহ লাখো বিক্ষোভকারী ইসরায়েলি শহরগুলোর রাস্তায় নামলেন।

রোববার (৫ মার্চ) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশের প্রকাশিত ফুটেজে দেখা গেছে, শনিবার রাতে তেল আবিব এবং অন্যান্য স্থানে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা তেল আবিবে বাধা ভেঙে সামনে এগোনোর চেষ্টা করলে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান ব্যবহার করে। এসময় বিক্ষোভকারীরা রাস্তা অবরোধ করে আগুন জ্বালিয়ে দেন।

৫৩ বছর বয়সী ইতিহাসের শিক্ষক রনেন কোহেন শনিবারের ওই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি রয়টার্সকে বলেন, “আমি শাসকদলের বিপ্লবের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে এসেছি, যা ইসরায়েলি সরকার আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। আমি আশা করি, বিশাল এই বিক্ষোভ কার্যকর হবে এবং প্রমাণ করবে যে- আমরা হাল ছেড়ে দিই না।”

ইসরায়েলের বিচার ব্যবস্থাকে সংশোধন এবং সুপ্রিম কোর্টকে দুর্বল করার একটি পরিকল্পনা সম্প্রতি উন্মোচন করেছে ইসরায়েলের নতুন সরকার। এসব সংস্কার বাস্তবায়ন হলে ইসরায়েলের পার্লামেন্টের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের রায়গুলোকে বাতিল করা সহজ হবে।

বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার সংস্কারের জন্য সুপ্রিম কোর্টকে লক্ষ্যবস্তু করার পর জানুয়ারির প্রথম দিক থেকে প্রতি সপ্তাহের শনিবার বিপুল সংখ্যক ইসরায়েলি বিক্ষোভ করে আসছেন।

বিক্ষোভকারীরা বলছেন, নেতানিয়াহু সরকারের এই সংস্কার পরিকল্পনা ইসরায়েলের বিচারব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, দুর্নীতিকে আরও উৎসাহিত করবে, সংখ্যালঘুদের অধিকার নষ্ট করবে এবং ইসরায়েলের আদালত ব্যবস্থাকে বিশ্বাসযোগ্যতা থেকে বঞ্চিত করবে। মূলত ওই আইন পাস হলে আইনসভা এবং নির্বাহী বিভাগের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতাকে সীমিত হয়ে যাবে। একইসঙ্গে বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তমূলক ক্ষমতা পাবেন পার্লামেন্টের আইন প্রণেতারা।

এছাড়া নতুন এই সংস্কার পরিকল্পনা ইসরায়েলের “চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স সিস্টেমকে” হুমকির মুখে ফেলবে বলেও দাবি করে আসছেন বিক্ষোভকারীরা।

গত বুধবার থেকে বিক্ষোভের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেদিন ইসরায়েলি পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে বিকট শব্দ উৎপন্নকারী স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং দেশব্যাপী “অবরোধের দিন” তেল আবিবে সংঘর্ষ হয়।

৬৮ বছর বয়সী ওফির কুবিতস্কি নামে এক শিক্ষক জানান, ইসরায়েল একটি স্বৈরাচার দেশে পরিণত হওয়ার মতো বড় বিপদের মুখে রয়েছে। আমরা এখানে জয়ী না হওয়া পর্যন্ত বারবার বিক্ষোভ করতে আসব।

Link copied!