ভারতের সেই বিমানবালাকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন তার অ্যাপার্টমেন্টে কাজ করা ঝাড়ুদার বিক্রম অটওয়াল (৩৫)। হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পরপরই তাকে আটক করেছিল পুলিশ। পরে এ খুনের ব্যাপারে স্বীকারোক্তি দেন তিনি। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) মুম্বাইয়ের শহরতলীর আন্ধেরিতে নিজের বাসা থেকে রুপাল ওগ্রে (২৪) নামের ওই প্রশিক্ষাণার্থী বিমানবালার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে এই ঘটনায় সন্দেভাজন হিসেবে বিক্রম অটওয়ালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বিক্রমকে মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) আন্ধেরির স্থানীয় আদালতে হাজির করে পুলিশ। সেখানে বিক্রম স্বীকার করেন যে তিনি রুপাল ওগ্রেকে ধর্ষণ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ভুক্তভোগীর বাধায় ব্যর্থ হন এবং একপর্যায়ে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন।
পুলিশ জানায়, রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিক্রম আবর্জনা সংগ্রহ করতে রাপালের ফ্ল্যাটের দরজায় ধাক্কা দেন। ফ্লাশ ট্যাঙ্কে ফুটো হওয়ার অজুহাতে বিক্রম ছুরিসহ রুপালের ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেন।
রুপালকে তিনি ফ্ল্যাশ ট্রাঙ্ক পরীক্ষা করে দেখতে বললে, রুপাল বাথরুমে প্রবেশ করে। এ সময় বিক্রম তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। রুপাল বাধা দিলে সে তখন তাকে ছুরিকাঘাত করে। পরে বিক্রম মেঝে এবং তার জামার রক্তের দাগ পরিষ্কার করে ফ্ল্যাট থেকে বের হয়ে যান।
পুলিশ আরও জানায়, বিক্রম স্বীকার করেছে যে তার উদ্দেশ্য ছিল রুপালকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করা। রুপাল বাধা দিলে সে তার ঘাড়ে দুই বার ছুরিকাঘাত করে।