কারাগারের ভেতর আদালত বসিয়ে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিচারের সিদ্ধান্তকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পক্ষের আইনজীবী নাঈম পানজুথা জানান, রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইনের মামলায় কারাগারে ভেতর আদালত বসিয়ে ইমরানের খানের এ বিচারকে বেআইনি বলে ঘোষণা করেছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে নাঈম পানজুথা বলেন, “কারাগারে বিচার বেআইনি ঘোষণা করেছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট।”
বর্তমানে ইমরান খান দুর্নীতির মামলায় তিন বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে আছেন। গত অক্টোবরে রাষ্ট্রের গোপনীয় নথি ফাঁসের মামলায় তাকে অভিযুক্ত করা হয়। এর পর থেকে নিরাপত্তা শঙ্কার কথা জানিয়ে একটি বিশেষ আদালত কারাগারের ভেতরে মামলার শুনানি করছেন।
ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত একটি গোপন তারবার্তা পাঠান ইসলামাবাদে। কিন্তু ক্ষমতা থেকে অপসারিত হওয়ার পর সেই তারবার্তা ফাঁস করেছেন বলে অভিযোগ তুলে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইনে ইমরান খানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল।
গত ১৩ নভেম্বর দেশটির কেন্দ্রীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার কারাগারে বিচারের অনুমোদন দিয়েছে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উপস্থাপন করা সারসংক্ষেপে বলা হয়, নিরাপত্তাজনিত কারণে কারাগারে ইমরান খানের বিচারের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। পরে তা অনুমোদন পায়।
পাকিস্তানের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে গত ৫ আগস্ট গ্রেপ্তার করা হয়। প্রথমে তাকে পাকিস্তানের কুখ্যাত অ্যাটক কারাগারে রাখা হলেও পরে ২৬ সেপ্টেম্বর তাকে আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। তখন ইমরান খান তোশাখানা মামলায় দোষী ও সাইফার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মাহমুদ কোরেশিকেও একই কারাগারে রাখা হয়েছে।
তবে জেলের ভেতরে বিচার করার বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আপিল করেন ইমরান খান। ২০২২ সালের এপ্রিলে পার্লামেন্টের অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ হারান ইমরান খান।
আপনার মতামত লিখুন :