• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সাইফার মামলায় জামিন পেলেন ইমরান ও কুরেশি


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৩, ২০২৩, ১০:২২ এএম
সাইফার মামলায় জামিন পেলেন ইমরান ও কুরেশি
পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ছবি: সংগৃহীত

সাইফার মামলায় জামিন পেলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। শুক্রবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এ রায় প্রদান করেন। ইমরানের সঙ্গে তার দল পিটিআই নেতা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিও জামিন পেয়েছেন।

শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) এক আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ ইমরান ও কুরেশির জামিন মঞ্জুর করেন। আদালত এ দুই নেতার নামে আলাদা করে ১০ লাখ রুপি মূল্যের বন্ড জমা দিতে বলেন।

পিটিআই এর দুই নেতা রাষ্ট্রীয় নথি ফাঁসের এ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে এখন আদিয়ালা কারাগারে বন্দী। পাকিস্তানের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এ মামলা ছাড়া তোশাখানা মামলাসহ আরো অনেক মামলা রয়েছে।

জামিন আদেশের পর পিটিআইয়ের আইনজীবী সালমার সাফার গণমাধ্যমকে জানান, কুরেশিকে তাৎক্ষণিকভাবে মুক্তি দেওয়া উচিত। আর ইমরান খানের বিরুদ্ধে হওয়া অনেকগুলো মামলায় আগাম জামিন রয়েছে এবং অনেকগুলো বিচারাধীন। তিনি বলেন, “আজ (শুক্রবার) তিনজন বিচারপতিই একমত হয়েছেন। এই নথি ফাঁসের মামলা রাজনৈতিক নিপীড়নমূলক। এভাবে আপনি সবার জন্য সমান সুযোগ আশা করতে পারেন না।” নথি ফাঁসের মামলার আর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই বলে দাবি করেন সালমার।

এদিকে ভবিষ্যতে ইমরানের ছাড়া পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম বলে এএফপিকে জানিয়েছেন পিটিআইয়ের আরেক আইনজীবী ইউসুফ চৌধুরী।

সাইফার মামলায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দেওয়া অভিযোগপত্রে জানানো হয়, একটি কূটনৈতিক তারবার্তা ইমরান ফেরত দেননি। ওই তারবার্তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র ইমরানকে ক্ষমতা থেকে সরাতে ষড়যন্ত্র করেছিল বলে দাবি করছে পিটিআই।

২০২২ সালের এপ্রিলে দেশটির পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা হারান ৭১ বছর বয়সী ইমরান খান।

গত অক্টোবর মাসে আদিয়ালা কারাগারের ভেতর আদালত বসিয়ে এ মামলায় ইমরান ও কুরেশিকে অভিযুক্ত করা হয়। কিন্তু কারাগারের ভেতরে করা বিচারকাজকে অবৈধ বলে বিচার প্রক্রিয়াকে বাতিল করেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। পরে উন্মুক্ত আদালতে বিচারের সিদ্ধান্ত নেন বিশেষ আদালত।

এরপর ১৩ ডিসেম্বর এ মামলায় ইমরান ও কুরেশি দ্বিতীয়বার অভিযুক্ত হন। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ইমরানের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়েছে। ইমরান খান দাবি করে আসছেন, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে তাঁর অংশগ্রহণ ঠেকাতে সরকার ও সেনাবাহিনীর চক্রান্তে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এসব মামলা দেওয়া হয়েছে।

Link copied!