কানাডায় শিশুদের স্কুলে ‘যৌন এবং লিঙ্গ পরিচয়’ শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করার বিরুদ্ধে মুসলিম এবং খ্রিস্টান অভিভাবকরা বিক্ষোভ করেছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ উন্নত অর্থনীতির দেশের শিশুদের প্রায়ই তাদের নিজস্ব ‘পরিচয়’ বেছে নিতে উৎসাহিত করা হয়। যা কিছু ক্ষেত্রে তাদের মনে বিভ্রান্তি তৈরি করছে।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, শুক্রবার (৯ জুন) দেশটির রাজধানী অটোয়ায় নেপিয়ান হাই স্কুল, নটরডেম হাই স্কুল এবং ব্রডভিউ অ্যাভিনিউ পাবলিক স্কুলের কাছে বিক্ষোভ হয়।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া একজন মুসলিম মা বলেন, “আমি চাই না সন্তানরা এ বিষয়ে শিখুক। কারণ তারা শিশু, প্রাপ্তবয়স্ক নয়। তারা (বাচ্চারা) এই জিনিস সম্পর্কে শিখতে স্কুলে যায় না।” আরেক প্রতিবাদকারী বলেন, “আমাদের বাচ্চারা স্কুলে এমন জিনিস শিখছে যা তাদের এই বয়সে শেখার কথা নয়।”
পুলিশ বলছে বিক্ষোভ থেকে তারা পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি বাহিনীটি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে ক্লাসে যে বইগুলো পড়ানো হচ্ছে সে সম্পর্কে পিতামাতাকে আগে থেকে অবহিত না করায় বিক্ষোভ হয়েছে।
মন্টগোমারি কাউন্টি পাবলিক স্কুল সিস্টেম ২০২২ সালে বলেছিল, পাঠ্যক্রম পরিবর্তন করার পরিকল্পনা করছে তারা। এতে প্রাক-কিন্ডারগার্টেন থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ‘যৌন এবং লিঙ্গ পরিচয়’সহ নতুন একটি অধ্যায় যুক্ত করা হবে।
এক মানবাধিকার কর্মী বলেন, ‘সন্তানদের কী শেখানো হচ্ছে তা বাবা-মায়েদের জানা দরকার।’
আপনার মতামত লিখুন :