জাপানের মধ্যাঞ্চলীয় প্রশাসনিক অঞ্চল নাগানোতে বন্দুক ও ছুরি হামলায় এক নারী ও দুই পুলিশসহ চারজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, এ ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছেন। পুলিশ হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে।
শুক্রবার (২৬ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। নাগানো শহরে ওই হামলাকারী একটি হান্টিং রাইফেল দিয়ে গুলি করে।
পুলিশ জানিয়েছে, ৩১ বছর বয়সী হামলাকারী ওই ব্যক্তির নাম মাসানোরি আওকি। তিনি স্থানীয় রাজনীতিবিদের ছেলে।
জাপানের সংবাদ সংস্থা কিয়োডো জানিয়েছে, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশ একটি কল পেয়েছিল। যেখানে বলা হয়, একজন মহিলাকে এক ব্যক্তি ছুরি হাতে ধাওয়া করে এবং ছুরিকাঘাত করেছে।
কাছাকাছি একটি মাঠে কাজ করা একজন প্রত্যক্ষদর্শী কিয়োডোকে বলেছেন, লোকটি প্রায় ৩০ সেমি (১ ফুট) লম্বা ছুরি দিয়ে আক্রমণ করে। তার উদ্দেশ্য পরিষ্কার নয়।
প্রত্যক্ষদর্শী আরও বলেন, তিনি হামলাকারীকে জিজ্ঞাসা করেছেন তিনি কেন ওই নারীকে ছুরিকাঘাত করেছিলেন। তখন তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, “আমি তাকে হত্যা করেছি কারণ আমি চেয়েছিলাম।”
দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল এনএইচকে বলেছে, দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত এবং একজন আহত হয়েছেন। তবে তারা গুলিতে নাকি ছুরিকাঘাতে হতাহত হয়েছেন তাৎক্ষণিকভাবে সেই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
যদিও জাপানে বন্দুক সহিংসতা অত্যন্ত বিরল। দেশটিতে কেউ অস্ত্র কিনতে চাইলে, তাকে কঠোর প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে লাইসেন্স পেতে হয়। তবে গত বছরের জুলাইয়ে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবেকে হত্যা করা হয়েছিল।
এমনকি দেশটিতে পুলিশের ওপর গুলির ঘটনাও অত্যন্ত বিরল। সর্বশেষ ৩০ বছরেরও বেশি আগে এরকম একটি ঘটেছিল।