• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ফুটবল মাঠে মারামারিতে খেলোয়াড়ের ‘ব্রেন ডেড’, কোমা নয়


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ৩১, ২০২৩, ০৫:১২ পিএম
ফুটবল মাঠে মারামারিতে খেলোয়াড়ের ‘ব্রেন ডেড’, কোমা নয়

জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে একটি আন্তর্জাতিক যুব ফুটবল প্রতিযোগিতা চলার সময় দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে মারামারি হয়। এতে আহত একজনকে চিকিৎসকরা ‘ব্রেন ডেড’ ঘোষণা করেছেন। রোববার এ ঘটনা ঘটেছে বলে দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

বুধবার (৩১ মে) জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এই ঘটনায় ফ্রান্স থেকে আসা দলের ১৬ বছর বয়সি একজনকে আটক করা হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে।

মঙ্গলবার পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, খেলা শুরুর বাঁশি বাজার পর খেলোয়াড়দের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। এক পর্যায়ে ১৫ বছর বয়সী এক খেলোয়াড়ের মাথায় বা গলায় আঘাত লাগলে সে লুটিয়ে পড়ে। মাঠে জরুরি চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে চিকিৎসকরা তাকে ব্রেন ডেড ঘোষণা করেন।

বার্লিন ও ফ্রান্স থেকে আসা দুটি দলের মধ্যে খেলাটি চলছিল।

ব্রেইন ডেড কী:
আমরা প্রায়সই ব্রেইন ডেড আর কোমা এই দুটোকে এক করে ফেলি। কোমায় থাকার পরেও মানুষ বেঁচে ফিরতে পারে। কিন্তু ব্রেইন ডেড হলে কোনভাবেই জীবন ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়।

মানুষের মস্তিকে বিভিন্ন বিভাগে বিভক্ত। তার মধ্যে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ভাগ হলো ব্রেইন স্টেম এবং কর্টেক্স। কর্টেক্স বড় এবং ব্রেইন স্টেম ছোট আকারের হয়ে থাকে। কর্টেক্স আমাদের জীবনে বিশেষ দায়িত্ব গুলো পালন করে। যেমন পড়া, লেখা, কথা বলা ইত্যাদি কর্টেক্স এর মাধ্যমে হয়ে থাকে। যদি কর্টেক্স ক্ষতিগ্রস্ত হয় তবে মানুষ কোমায় চলে যায়। অর্থাৎ তার স্বাভাবিক গতিবিধি বন্ধ হয়ে যায়।

কোমা ও ব্রেইন ডেড এর পার্থক্য
কোমায় থাকা অবস্থাতেও মানুষ ব্যথা অনুভব করতে পারে এবং তার শরীরের সমস্ত অঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করতে থাকে। কোমায় মানুষ প্রায় কয়েক ঘন্টা থেকে শুরু করে কয়েক বছর পর্যন্ত থাকতে পারে।

কিছু সময় চিকিৎসার পর কোমা থেকে মানুষ জীবন ফিরে পেতে পারে। কিন্তু ব্রেন ডেড হলে সেটা কোনভাবেই সম্ভব নয়। কারণ এটা হওয়া মানে কর্টেক্স এবং ব্রেন স্টেম দুটোই সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যায় অর্থাৎ মস্তিষ্কের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে  যায়।

Link copied!