• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচনী সংঘাতে পশ্চিমবঙ্গে নিহত ৮


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০২৩, ০১:৩০ পিএম
নির্বাচনী সংঘাতে পশ্চিমবঙ্গে নিহত ৮
একটি কেন্দ্রে ভোটারদের সারি। ছবি সংগৃহীত

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনায় শনিবার (৮ জুলাই) আটজনের প্রাণহানি হয়েছে। 

ভোট গ্রহণ শুরুর প্রথম চার ঘণ্টায় ছুরিকাঘাত, বোমা ও গুলিতে এসব নিহতের ঘটনা ঘটে। টাইমস অব ইন্ডিয়া সূত্রে এ খবর জানা গেছে।

জানা যায়, রাজ্যের ২২টি জেলার ৬৩ হাজার ২২৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসন, ৯ হাজার ৭৩০টি পঞ্চায়েত সমিতির আসন এবং ৯২৮ টি জেলা পরিষদের আসনে নির্বাচন শুরু হয়।

রাজ্যটির ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এসব সহিংসতার জন্য একে অপরকে দোষারোপ করছে। 

কলকাতাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই হামলা ও সংঘর্ষ চলছিল। 

নির্বাচনের দিন এসব দ্বন্দ্ব প্রকট আকার ধারণ করে। রাজ্যের অনেক জায়গায় গুলির ঘটনাও ঘটে। কোথাও কোথাও বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে।

আনন্দবাজার আরও জানিয়েছে, মুর্শিদাবাদে দুই তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তৃণমূল, কংগ্রেস ও সিপিএম কর্মীরা।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়েও হামলা পাল্টাহামলার ঘটনা ঘটেছে। কোচবিহারে ফোলিমারি গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটেরহাট ৪/৩৮ নম্বর বুথে বিজেপির এজেন্টকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। 

মালদহের মানিকচকে তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। উত্তর দিনাজপুরের চাপড়ায় তৃণমূলের এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগণার ভাঙড়ে চকমরিচায় দুই আইএসএফ কর্মীকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ তোলা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্যের ক্ষমতাসীনরা।

অপর দিকে কোচবিহারের সিতাইয়ে নির্বাচনী বুথে অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং ব্যালট পেপার পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে সূত্রটি।

জানা যায়, আগামী ২০২৪ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে লোকসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। 

কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকা বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে তাদের শক্ত অবস্থান নিশ্চিত করতে চায়। ফলে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যটিতে একের পর এক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। 

এসব সহিংসতায় নির্বাচনের আগে অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। নির্বাচনের দিন এ সংখ্যা আরও বেড়েছে বলে জানা যায়।

 

 

 

Link copied!