মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সাথে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের বৈঠকের পর তাইওয়ান প্রণালীজুড়ে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। এ উত্তেজনার মধ্যে তাইওয়ানের কাছে চীনের দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরী ‘শানডং’ পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে মহড়ায় নিযুক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। তাইওয়ান প্রতিরক্ষামন্ত্রী চিউ কো-চেং সাংবাদিকদের বলেছেন, বিমানবাহী রণতরীটি তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলের ২০০ নটিক্যাল মাইল (৩৭০ কিলোমিটার) দূরে অবস্থান করছিল। চীনের নিজস্বভাবে তৈরী প্রথম বিমানবাহী রণতরী শানডং বুধবার তাইওয়ানের দক্ষিণে বাশি চ্যানেল দিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে পাঠানো হয়। এর সাথে চীনা নৌবাহিনীর আরও কয়েকটি জাহাজ ছিল।
চীনের রাষ্ট্রীয়ভাবে পরিচালিত গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, এই মোতায়েন প্রমাণ করে যে শানডং সামুদ্রিক অভিযানের জন্য পূর্ণভাবে তৈরী এবং চীনের জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডগত অখণ্ডতা নিরাপদ করতে প্রস্তুত। পিপলস লিবারেশন আর্মির ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড গত সপ্তাহে স্থলভাগে ‘ব্যাপক মহড়ার’ আয়োজন করেছে এবং সাগর ও আকাশেও তা করেছে। এই কমান্ড চীনের পূর্ব উপকূলের দায়িত্বপ্রাপ্ত।
ক্যালিফোর্নিয়ায় তাইওয়ানি প্রেসিডেন্ট মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ম্যাকার্থির সাথে বৈঠকের পর এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। চীন আগেই ঘোষণা দিয়েছিল, তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট যদি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নেতার সাথে সাক্ষাত করে তবে কঠোর পরিণাম ভোগ করতে হবে।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট বৈঠকের পর দেশে রওনা হয়েছেন। তিনি বৈঠককে ক্যালিফোর্নিয়ার সূর্যোদয়ের মতো উষ্ণ হিসেবে অভিহিত করেছেন। আর ম্যাকার্থি সাইকে ‘আমেরিকার মহান বন্ধু’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট বেলিজ ও গুয়েতেমালা সফরের পর যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রাবিরতির সময় এই বৈঠক হয়।
আপনার মতামত লিখুন :