• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কিমের পর রাশিয়া সফরে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩, ০৪:৪৪ পিএম
কিমের পর রাশিয়া সফরে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই । সংগৃহীত

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই রাশিয়া সফর করছেন। এমন সময়ে তিনি দেশটি সফর করছেন যখন রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে চীনের অব্যাহত সমর্থন চাইছে। খবর বিবিসির।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়াং ই ও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ একটি বৈঠকের পরে বলেছেন যে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার যে কোনও প্রস্তাবে অবশ্যই মস্কোর স্বার্থ বিবেচনায় রাখতে হবে।

পশ্চিমারা মস্কোর ঘনিষ্ঠ মিত্র বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে যে যুদ্ধের সময় পরোক্ষভাবে দেশটি রাশিয়াকে সমর্থন করছে। তবে চীন এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

ওয়াংয়ের সফরের পর শীঘ্রই প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের চীন সফর হতে পারে বলে জানিয়েছে রুশ গণমাধ্যম। 

ওয়াংয়ের সফরটি এমন সময়ে হচ্ছে, যখন মাত্র কয়েকদিন আগেই উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন রাশিয়া সফর করেছেন।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওয়াং চার দিনের জন্য ‘কৌশলগত নিরাপত্তা পরামর্শের’ জন্য রাশিয়ায় সফরে গিয়েছেন।

সোমবারের (১৮ সেপ্টেম্বর) আলোচনার পর, রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওয়াং ও লাভরভ ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং রাশিয়ার স্বার্থ ও বিশেষ করে এর অংশগ্রহণের কথা বিবেচনা না করে সংকট নিরসনের প্রচেষ্টার অসারতা উল্লেখ করেছেন।

এশিয়া সোসাইটি পলিসি ইনস্টিটিউটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ররি ড্যানিয়েলস জানান, চীন ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি দেখতে আগ্রহী, যাতে দেশটি ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত করতে পারে। একই সঙ্গে দেশটি ‘যুদ্ধের জন্য কে দায়ী তা নির্ধারণ করে তার থেকে আসা সম্ভাব্য ফলাফলকে আলাদা করতে’ চায়। কারণ, চীন রাশিয়ার প্রতি সহানুভূতিশীল।  

যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে চীন রাশিয়াকে অর্থনৈতিকভাবে এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা করছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ রয়েছে। চীন বরাবরই এই ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং জোর দিয়ে বলেছে যে তারা যুদ্ধের বিষয়ে একটি নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছে।

চলতি মাসের শুরুতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন যে তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করবেন বলে আশা করেছেন। তবে কখন তা তিনি বলেননি।

পর্যবেক্ষকরা ধারনা করছেন, আগামী মাসে পুতিন চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ফোরামে অংশ নিতে পারেন।

Link copied!