আজারবাইজান নাগার্নো-কারাবাখে ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ অভিযান শুরু করেছে। তারা বলছে, জাতিগত-আর্মেনিয়ান বিচ্ছিন্নতাবাদীরা আত্মসমর্পণ না করা পর্যন্ত অভিযান চলবে। এক প্রতিবেদনের এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আজারবাইজানের অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিচ্ছিন্ন ছিটমহলের চারপাশে কয়েক মাস ধরেই দক্ষিণ ককেশাসে উত্তেজনা চলছিল।
বাকু নির্দেশ দিয়েছে ‘অবৈধ আর্মেনিয়ান সামরিক সংগঠনকে’ অস্ত্র হস্তান্তর করার এবং তাদের ‘অবৈধ শাসন’ ভেঙে দেওয়ার জন্য।
এর আগে, আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া শেষবার তিন বছর আগে যুদ্ধে জড়িয়েছিল। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিকে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া প্রথম যুদ্ধে জড়ায়। ২০২০ সালে আজারবাইজান নাগর্নো-কারাবাখ ও এর আশপাশের অঞ্চলগুলো পুনরুদ্ধার করে একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়, যা রাশিয়ার শান্তিরক্ষীদের দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছিল।
কারাবাখের জাতিগত আর্মেনীয়রা মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) যুদ্ধবিরতি ও আলোচনা শুরু করার জন্য আবেদন করেছে। কিন্তু আজারবাইজানি আলটিমেটাম থেকে এটা স্পষ্ট যে বাকুর লক্ষ্য পাহাড়ি ছিটমহল দখল করা।
আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান আজারবাইজানকে ‘জাতিগত নির্মূলের’ লক্ষ্যে অভিযান শুরু করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন।
আর্মেনিয়ার বিক্ষোভকারীরা তাদের দেশের প্রতিক্রিয়ায় হতাশ হয়ে ইয়েরেভানে সংসদের বাইরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। তাদের নেতাকে তারা বিশ্বাসঘাতক হিসাবে নিন্দা জানিয়ে, তাকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানায়।
আজারবাইজান বলছে, কারাবাখের আঞ্চলিক রাজধানী খানকেন্দির প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তরে ইয়েভলাখ শহরে আলোচনা শুরু হতে পারে। যাকে জাতিগত আর্মেনীয়রা স্টেপানাকার্ট বলে।
২০২০ সালের শেষ থেকে ৩ হাজার রাশিয়ান সেনা ভঙ্গুর এই যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ করছে। কিন্তু ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর মস্কোর মনোযোগ সরে গেছে।
আনুমানিক ১ লাখ ২০ হাজার জাতিগত আর্মেনিয়ান পাহাড়ের ছিটমহলে বাস করে। রাশিয়া জানিয়েছে, তাদের সৈন্যরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে প্রায় ৫০০ বেসামরিক নাগরিককে সরিয়ে নিয়েছে। আর বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বলেছে, তারা ৭ হাজার নাগরিককে নিরাপদে সরে যেতে সাহায্য করেছে।