দ. কোরিয়ায় বন্যা-ভূমিধসে ২৮ জন নিহত

দক্ষিণ কোরিয়ায় গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে বন্যা ও ভূমিধসে নাজেহাল জনজীবন। কিছু কিছু এলাকায় ভূমিধসের কারণে বাড়িঘরের ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। একটি প্লাবিত ভূগর্ভস্থ টানেলে আটকে থাকা বাস থেকে সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে গত কয়েকদিনে দেশজুড়ে ২৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

রোববার (১৬ জুলাই) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে পার্শ্ববর্তী মিহো নদীর তীরের একাংশ ধসে পড়ে। এতে চার লেনের আন্ডারপাসটি তলিয়ে গেলে অনেক গাড়ি আটকা পড়ে। পানি দ্রুত গতিতে ভেতরে ঢুকে পড়ায় ভেতরে থাকা মানুষজন বের হওয়ার সময় পায়নি। শনিবার প্রবল স্রোতে ওই টানেলে বাসসহ ১৫টি গাড়ি আটকা পড়েছিল। এই ঘটনায় ১১ জন নিখোঁজ হন।

ওসোং শহরের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উদ্ধারকর্মীরা ৬৮৫ মিটার দীর্ঘ (২ হাজার ২৪৭ ফুট) ওই টানেলের ভেতর থেকে ৬ জনের মৃতদেহ বের করেছে। এছাড়া আটকে থাকা নয়জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা একজন জানান, পানি যখন টানেলের মুখে প্রবেশে করতে থাকে তখন ভেতরে অনেক গাড়ি ছিল। এই পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষ কেন টানেলের মুখ দ্রুত বন্ধ করে দেয়নি আমি বুঝতে পারছি না।

গত ৯ তারিখ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার অনেক জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। প্রবল স্রোতে অনেক ঘর-বাড়িতে নরম কাদা মাটি ঢুকে পড়েছে। এতে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন অনেক বাসিন্দা।

দেশটির অভ্যন্তরীণ ও নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় শনিবার গভীর রাতে বলেছে, গত দুইদিনে বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট ভূমিধস এবং বন্যায় প্রায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বৃষ্টির কারণে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার মানুষকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। শনিবার সকালে উত্তর চুংচেং প্রদেশের গোয়েসান বাঁধের পানি উপচে পড়ে। এতে নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের দ্রুত সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। খারাপ আবহাওয়ায় বিঘ্নিত হচ্ছে বিমান চলাচল। এখন পর্যন্ত ২০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। ভারী বৃষ্টি ও বন্যার কারণে কিছু বুলেট ট্রেনের শিডিউলেও বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ঝুঁকি থাকায় প্রায় ২০০ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।