• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাকার্তায় তেলের ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১৭


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ৪, ২০২৩, ১০:০৮ এএম
জাকার্তায় তেলের ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১৭

ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় একটি জ্বালানি তেলের ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৭ জন নিহত এবং দুই শিশুসহ আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক। এক প্রতিবেদনে অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি) এ খবর জানিয়েছে।

এপি জানায়, শুক্রবার (৩ মার্চ) রাত ৮টার দিকে আকস্মিকভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়। দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে পার্শ্ববর্তী জনবসতিপূর্ণ এলাকায়। দুর্ঘটনাস্থল থেকে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস দপ্তরের উদ্ধারকর্মীরা।

উত্তর জাকার্তার তানাহ মেরাহর ওই ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ইন্দোনেশিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত তেল এবং গ্যাস কোম্পানি ‘পার্টামিনা’ প্লামপ্যাং ফুয়েল স্টোরেজ নামের ওই স্টেশন পরিচালনা করছে। এই ডিপো থেকে ইন্দোনেশিয়ার মোট জ্বালানি চাহিদার ২৫ শতাংশ তেল সরবরাহ আসে। জ্বালানি তেলের এ ডিপোতে এর আগেও বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২৬০ জন কর্মী ও ৫২টি দমকল ইঞ্জিন প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলে সম্প্রচারিত একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, অগ্নিকাণ্ডের আতঙ্কে শত শত মানুষ ছোটাছুটি করছেন। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকা আগুনের শিখা নেভাতে হিমশিম খাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে চারদিক।

পার্টামিনার এরিয়া ম্যানেজার ইকো ক্রিস্টিয়াওয়ান বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, ভারী বৃষ্টির সময় সম্ভবত বজ্রপাতের কারণে একটি পাইপলাইন ফেটে যাওয়ায় আগুন লেগেছে। তবে এ ঘটনার কারণে দেশের জ্বালানি সরবরাহে প্রভাব পড়বে না।”

জাকার্তার ভারপ্রাপ্ত গভর্নর হেরু বুদি হার্তোনো জানিয়েছে, অন্তত ৬০০ গৃহহীন মানুষকে কয়েকটি সরকারি অফিস এবং একটি ক্রীড়া স্টেডিয়ামে অস্থায়ীভাবে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

জাকার্তার ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ বিভাগের প্রধান সাত্রিয়াদি গুনাওয়ান বলেছেন, অন্তত ১৭ জন মারা গেছেন এবং দুই শিশুসহ আহত ৫০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।

দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এরিক থোহির এক শোকবার্তায় আগুনে হতাহতদের পরিবারের সদস্যদের আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন। পাশাপাশি পার্টামিনার কর্মকর্তাদের আগুনের সঠিক কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন এবং হতাহতদের পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা প্রদানেরও নির্দেশ দিয়েছেন।

প্লামপ্যাং ফুয়েল স্টোরেজ জ্বালানি ডিপোতে এটি ছিল দ্বিতীয় বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। এর আগে ২০১৪ সালে প্রথম অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আশপাশের অন্তত ৪০টি বাড়ি পুড়ে গিয়েছিল। তবে সে সময় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

সরকারকে অবিলম্বে জনবসতিপূর্ণ এই এলাকা থেকে ডিপোটি সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন গাজাহ মাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্লেষক ফাহমি রাধী।

Link copied!