• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

ভূমধ্যসাগর থেকে ১৭ বাংলাদেশি উদ্ধার


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২৩, ০১:০৯ পিএম
ভূমধ্যসাগর থেকে ১৭ বাংলাদেশি উদ্ধার

লিবিয়া থেকে অবৈধপথে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার সময় নৌকাডুবির ঘটনায় ১৭ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করে উপকূলে নিয়ে আসা হয়েছে।

ইতালির স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। উদ্ধার করা অভিবাসীদের ইতালির সিসিলি দ্বীপের পোজালো শহরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং তারা সবাই মূলত বাংলাদেশের নাগরিক।

দেশটির কোস্টগার্ড জানিয়েছে, রবিবার খারাপ আবহাওয়ার কারণে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। নৌকাডুবির ওই ঘটনায় ভূমধ্যসাগরে ৩০ অভিবাসী ডুবে গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

অ্যালার্ম ফোন নামের একটি দাতব্য সংস্থা অভিবাসীদের দুর্দশার জন্য ইতালিকে দায়ী করেছে।

সংস্থাটি বলছে, “৪৭ জন অভিবাসীবাহী ওই নৌকাটি সমস্যায় পড়েছে বলে শনিবার বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও ইতালি সেখানে তার কোস্টগার্ডকে পাঠায়নি। স্পষ্টতই ইতালীয় কর্তৃপক্ষ এই ঘটনা এড়াতে চেষ্টা করছিল। কারণ তারা উদ্ধারে গেলে বিপদাপন্ন এই অভিবাসীদের ইতালিতে আনতে হবে। আর এই কারণেই হস্তক্ষেপে বিলম্ব করে ইতালি চাইছিল যেন তথাকথিত লিবিয়ান কোস্টগার্ড সেখানে আসে এবং জোরপূর্বক লোকদের আবারও লিবিয়ায় ফিরিয়ে নিয়ে যায়।”

বিপজ্জনক এই পথ পারাপার করতে গিয়ে প্রাণহানির ঘটনা নতুন নয়। ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের মিসিং মাইগ্রেন্টস প্রজেক্ট অনুযায়ী, ২০১৪ সাল থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে ২০ হাজারেরও বেশি অভিবাসী মারা গেছেন।

অবশ্য ইতালির উপকূলরক্ষীরা বলেছে, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী নৌকাটি ডুবে যাওয়ার এই ঘটনাটি ইতালীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার এলাকার (এসএআর) বাইরে ঘটেছে। এমনকি ইতলীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানি বলেছেন, নৌকাডুবি এড়াতে রোম যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে।

সমুদ্রপথে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টাকারী অভিবাসীদের জন্য ইতালি অন্যতম প্রধান এক প্রবেশপথ। কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরীয় এই রুটটি বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক হিসেবে পরিচিত।

এর আগে অবৈধপথে ইতালি যাওয়ার সময় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় ক্যালাব্রিয়ার কাছে জাহাজডুবির ঘটনায় অন্তত ৭৯ জন অভিবাসীর প্রাণহানি হয়।

Link copied!