• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ফ্রান্সে বহুতল ভবন ধসে আটকা ১০, আহত ৬


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১০, ২০২৩, ১২:২৮ এএম
ফ্রান্সে বহুতল ভবন ধসে আটকা ১০, আহত ৬

ফ্রান্সের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মার্সেইতে একটি চারতলা ভবন ধসে পড়ার পর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ছয় জন আহত হয়েছে। ফরাসি কর্তৃপক্ষ বলছে, এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছে। কিন্তু ভবনটিতে আগুন জ্বলতে থাকায় ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ।

রোববার (৯ এপ্রিল) মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার রাত ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে হঠাৎ করে বিকট শব্দ হয় এবং ভবনটি ধসে পড়ে। বিস্ফোরণে সবকিছু কেঁপে উঠে। এ সময় লোকজন দৌড়াতে শুরু করে এবং সর্বত্র ধোঁয়ায় ঢেকে যায়।

মার্সেইয়ের মেয়র বেনো পায়ান ভবন ধসে পড়া ও আগুন জ্বলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, “এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে… ফায়ার ফাইটাররা প্রতিটি মিনিট বিবেচনা করছেন কীভাবে এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। কারণ সম্ভবত ভবনটির ভেতর জীবিত মানুষ রয়েছেন। এ ঘটনায় হতাহতদের নিয়ে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।”

এদিকে অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা আবাসিক ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ভবনের আগুন এতটাই উত্তাপ ছিল যে সেখানে উদ্ধারকারী কুকুরও যেতে পারছিল না। দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৮০ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

ওই এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, তাদের কাছে মনে হয়েছে যেন কোনো কিছু বিস্ফোরণ হয়েছে। বিকট শব্দের সঙ্গে সবকিছু কেঁপেও উঠেছিল।

যদিও দেশটির কর্তৃপক্ষ এখনও বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ জানতে পারেনি।

দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন দুর্ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, ধ্বংসস্তূপের নিচে চার থেকে ১০ জন লোক আটকা রয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ অনুমান করছে।

মার্সেই মেরিন ফায়ার ফাইটার্স কমান্ডার লিওনেল ম্যাথিও বলেছেন, “আমরা উদ্ধার অভিযান ত্বরান্বিত করার চেষ্টা করছি, কারণ সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আগুনের উত্তাপের কারণে কাজ করতে পারছে না উদ্ধারকারী কুকুর।”

ওই ভবন ধসে পার্শ্ববর্তী ভবনগুলোতে ৩৩ জনকে জরুরি চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, ধসে পড়া ভবনে কতজন লোক ছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়।

এর আগে ২০১৮ সালে মার্সেইতে নোয়াইলেসের শ্রমজীবী জেলায় দুটি জরাজীর্ণ ভবন ধসে মোট আট জন নিহত হয়েছিল। এর পরপরই নড়েচড়ে বসে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

Link copied!