বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার কারণে চাহিদা কমেছে তেলের। ক্রমবর্ধমান চাহিদা কমার লক্ষণে এপ্রিলের শুরুর পর থেকে কমতে শুরু করে তেলের দাম। আর এ সপ্তাহে দরপতন হয়েছে সবচেয়ে বেশি।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন বলছে, আন্তর্জাতিক বাজারে ছয় মাসের মধ্যে তেলের দাম এখন সর্বনিম্ন। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট প্রতি ব্যারেল তেলের দাম কমিয়ে ৮৯ ডলার নির্ধারণ করেছে, যা গত সপ্তাহের চেয়ে প্রায় ১০ শতাংশ কম।
লিবিয়ার তেলের সরবরাহ বৃদ্ধি দাম আরও কমাতে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অনেক অঞ্চলে চাহিদা কমে যাওয়ায় ব্যারেলপ্রতি অপরিশোধিত তেল বিক্রি হচ্ছে ১.৭৩ ডলারে, যা এক সপ্তাহ আগেও ৬ ডলারের বেশি ছিল।
বৃহস্পতিবার অপরিশোধিত ব্রেন্ড ক্রুড তেল প্রতি ব্যারেল ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বা ২ দশমিক ৬৬ ডলার কমে ৯৪ দশমিক ১২ ডলারে বিক্রি হয়। ১৮ ফেব্রুয়ারির পর এটিই সর্বনিম্ন দর।
বছরের শুরুতে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১২০ ডলারের বেশি ছিল। পরে মহামারির প্রকোপ ও ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে রাশিয়ার তেল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞায় সরবরাহ ঘাটতি দেখা দেয়।
এরপর সরবরাহ বাড়লেও বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির চাপে বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে কমতে শুরু করেছে তেলের দাম।
সিআইবিসি প্রাইভেট ওয়েলথ ম্যানেজমেন্টের কর্মকর্তারা জানান, ক্রেতা না পাওয়ায় আর চাহিদার বৃদ্ধি না হওয়ায় জুন ও জুলাইয়ে দাম কমার পর এ মাসে লোকসানও গুনেছে অনেক তেল কোম্পানি।